Advertisement

Sandeshkhali : জুতো-ঝাঁটা-লাঠি হাতে শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে হামলা মহিলাদের, আজও ফুঁসছে সন্দেশখালি

ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রবিবার বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মহিলারা। এবার তাঁরা চড়াও হলেন আর এক তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে।

Sandeshkhali
Aajtak Bangla
  • সন্দেশখালি,
  • 26 Feb 2024,
  • अपडेटेड 1:03 PM IST
  • ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি
  • জুতো-ঝাঁটা-লাঠি হাতে শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে হামলা মহিলাদের

ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রবিবার বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মহিলারা। এবার তাঁরা চড়াও হলেন আর এক তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে। মহিলাদের অভিযোগ, এই শঙ্কর সর্দার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তিনি গ্রামবাসীর বাড়ি, জমি সব বিক্রি করে দিয়েছেন। শঙ্করকে শায়েস্তা করতে সোমবার সকাল থেকে তচঁর বাড়ি ঘেরাও করে গ্রামবাসী। শঙ্করের বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। 

সোমবার সকালে বেড়মজুরের নেতা শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয় মহিলারা। তারা ক্যামেরার সামনেই জানান, শঙ্কর সর্দারের বাড়ি তাঁরা ভাঙচুর করতে এসেছেন। কারণ, এই শঙ্কর তাঁদের জমি দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করেছে। তারপর তা বিক্রিও করে দিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও ভয় দেখানো হয়েছে। পুলিশ তাদের অভিযোগ নেয়নি। বছরের পর বছর ধরে এই শঙ্কর দুর্নীতি করছে। স্থানীয়দের জব কার্ড কেড়ে নিয়েছে, জমি কেড়ে নিয়েছে। 

এক মহিলা জানান, তাঁদের এলাকার সব নিয়ন্ত্রণ করে শঙ্কর। বিধায়কের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ আছে। শেখ শাহাজাহান, সিরাজ, শঙ্কর এরা বছরের পর বছর ধরে এক নায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। গ্রামের মানুষ তাদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। আর এক মহিলার কথায়, 'শঙ্কর নিজে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হলেও সে আদিবাসীদের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছে। তাদের বর্গার যে জমি ছিল তা শঙ্কর দখল করে বিক্রি করেছে।' 

যদিও শঙ্করের মেয়ে জানান, তাঁর বাবা নির্দোষ। সে সব অভিযোগ করা হচ্ছে সব মিথ্যে। শঙ্কর কারও জমি দখল করেননি। শঙ্করের মেয়ে বলেন, 'বাবা নেই। হাসপাতালে গেছে। বাড়ির একজন অসুস্থ। সেটা গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছে। তবে তারা শুনছে না। পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত।' 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আধিকারিকেরা বাধা দিতে গেলে বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। পুলিশের তরফে বার বার সতর্ক করা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, শঙ্করকেও গ্রেফতার করতে হবে। অজিতদের সঙ্গে মিলে শঙ্করও তাঁদের উপর অত্যাচার করতেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, রবিবারই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অজিত। গণপিটুনির ভয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকে যান তিনি। সন্ধের সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে। সোমবার সকালে গ্রেফতার। সেই সময় তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অজিত মাইতিকে দলীয় যে পদ তা থেকে সরানো হয়েছে। এরপর তৃণমূলের তরফে বেড়মজুরে অজিতের জায়গায় হলধর আড়িকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। খড়ের গাদায় আগুন ধরানো হয়। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement