Advertisement

Idris Ali: প্রয়াত বিধায়ক ইদ্রিশ আলি, বর্ষীয়ান TMC নেতার শেষকৃত্য আজ

ইদ্রিশ আলি পেশায় দুঁদে আইনজীবীও ছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাক্টিস করতেন। পরিবারের বেকারির ব্যবসা। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে গেলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় দলের অন্দরের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন ইদ্রিশ।

MLA Idris Ali
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Feb 2024,
  • अपडेटेड 8:50 AM IST
  • কোভিডের পর থেকে শরীর ভেঙে যায়
  • অশক্ত শরীরেও ১ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়
  • পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন

প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিশ আলি (Idris Ali)। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। বিধায়ক হওয়ার আগে ইদ্রিশ আলি দীর্ঘদিন সাংসদও ছিলেন। বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার পার্কসার্কাস কবরস্থানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত বিধায়কের।

কোভিডের পর থেকে শরীর ভেঙে যায়

জানা গিয়েছে, ইদ্রিশ আলি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন। এছাড়াও একাধিক বার্ধক্যজনীত রোগও। ভর্তি ছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সংখ্যালঘু নেতা হিসেবে ইদ্রিশ আলি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। বস্তুত, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই শরীর ভেঙে যায়। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের সময় প্রচারেও শরীর সঙ্গ দেয়নি। তা সত্ত্বেও ১ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। 

অশক্ত শরীরেও ১ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়

ইদ্রিশ আলির রাজনীতি শুরু কংগ্রেসে। একদা সোমেন মিত্র ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরবর্তীকালে সোমেন মিত্রর সঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১১ সালে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি আসনে প্রার্থী হন। জিততে পারেননি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হন ইদ্রিশ। ব্যাপক ভোটে জিতে লোকসভার সাংসদ হন। ২০১৯ সালে টিকিট পাননি। পরবর্তীকালে উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন। ২০২১ সালে জলঙ্গিতে এক লক্ষের বেশি ব্যবধানে জিতে বিধায়ক হন তিনি। 

পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন

ইদ্রিশ আলি পেশায় দুঁদে আইনজীবীও ছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাক্টিস করতেন। পরিবারের বেকারির ব্যবসা। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে গেলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় দলের অন্দরের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন ইদ্রিশ। বলেছিলেন, '৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় বিলি হচ্ছে পঞ্চায়েতের পদ।' টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের সভাপতির নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ইদ্রিশ আলি। টিকিটের মতোই টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে পদ বিক্রির অভিযোগ ছিল তাঁর। বলেছিলেন, 'সততার প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি পৃথিবী ভ্রমণে বেরিয়েছেন। মমতা আরেকটু সময় দিলে এসব বন্ধ করা যেতে পারত।'বিরোধীদের কুকথা বলার জন্য একসময় মমতার রোষেও পড়েছিলেন ইদ্রিশ। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement