ভোটার তালিকা থেকে ‘ভূত’ তাড়াতে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে এই সংক্রান্ত বৈঠক থেকে পাঁচটি নয়া নীতি তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি কোর কমিটি। পাশাপাশি জেলায় জেলায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটারদের চিহ্নিত করে আলাদা করতে প্রত্যেক জেলা আলাদা করে কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাতে কমপক্ষে ১১ জন প্রতিনিধি থাকছেন। ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে সেই কমিটি গঠন করা হলেও, দ্বিতীয় নাম ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই কমিটির প্রথম বৈঠকেই এদিন দেখা মিলল না অভিষেকের। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে পৃথক বৈঠকেরও ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ তারিখ ফের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মমতার তৈরি কমিটিকে ভারচুয়াল বৈঠকে ডেকেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলা থেকে আসা রিপোর্টগুলি নিয়ে আলোচনা হবে, তারপর তা পেশ করা হবে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
ভূতুড়ে ভোটার কার্ড নিয়ে এই আলাদা বৈঠক ডেকেছে ন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ মার্চ ভোটার কার্ড ইস্যুতে ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছেন অভিষেক। ওই বৈঠকে কোর কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি, বিধায়ক এবং নেতৃত্বকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বস্তুত, ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সভা থেকে এ ব্যাপারে সুব্রত বক্সীকে কমিটির মাথায় রেখে ৩৬ জনের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন নেত্রী। সেই কাজ কতদূর এগোল তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে তৃণমূল ভবনে বসেছিল তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক।
বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের পাশাপাশি বৈঠকে দেখা যায়নি দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনকেও। ঠিক কী কারণে অভিষেক, ডেরেকরা এদিনের কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তারই মধ্যে ভূতুড়ে ভোটার কার্ড ইস্যুতে অভিষেক দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে পৃথক বৈঠক ডাকায় বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বৈঠক শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, চিরকুট হাতে আর একটি বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন সুব্রত বক্সী। তিনিই জানান, আগামী ১৫ মার্চ দলের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন অভিষেক। সুব্রত বক্সীর বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও অভিষেকের পৃথক বৈঠক করার প্রয়োজন পড়ল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৫ মার্চের ওই বৈঠকে সব নেতারা উপস্থিত থাকবেন কি না, সেদিকেই থাকবে নজর।