নিজের লোকসভা এলাকা ডায়মন্ড হারবারে আজ রিভিউ মিটিং করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ বছরে নিজের সংসদীয় এলাকায় উন্নয়নের খতিয়ান দিলেন অভিষেক।বৈঠক শেষে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে সবিস্তার খতিয়ানও দিতে দেখা যায় গত দুবারের সাংসদকে। এরপরেই বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক।
তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলায় একাই লড়বে ঘাসফুল শিবির। পঞ্জাবেও নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে আপ। এনডিএ শিবিরে ফিরে গেছেন নীতীশ কুমার। মোট কথা ইন্ডিয়া ব্লকের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "প্রথম দিন থেকে এবং পাটনায় প্রথম বৈঠক থেকে আমরা বলছি, কে কোথায় লড়বে তা ঠিক করুন। গত ছয় মাসে কংগ্রেস নেতারা বলতে পারবেন যে তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন এবং আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন তারা বলছে তারা টিএমসিকে চান, কারণ তৃণমূল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
অভিষেক আরও যোগ করেন, "প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব কীভাবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করতে পারে? রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব বলে চলেছে যে ইডি বাংলায় ভাল কাজ করছে কিন্তু দিল্লিতে নয়। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বলছেন , তাঁরা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চান। তিনি কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আমরা কখনো কিছু বলিনি। তিনি একজন ট্রোজান হর্স।"
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ আরও যোগ করেন , গত ৭ মাসে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অধীর চৌধুরী কী বলেছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছেন যাকে কংগ্রেস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বলে দাবি করছে। তিনি মমতাকে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চ্যালেঞ্জ করছেন। তিনি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছেন। শেষ পর্যন্ত আপনি কাকে সাহায্য করছেন? কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করছেন নাকি বিজেপির হাতকে? কে বিজেপির বি টিম এবং ট্রোজান হর্স জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমরা বারবার তাদের আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নিতে বলছি। গত বৈঠকে আমরা বলেছিলাম ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে কিন্তু দেরি হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
নীতীশের এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, তিনি আমার থেকে অনেক সিনিয়র, যদি তিনি বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমি কী বলব। কিন্তু রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি তাকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে চাই না। প্রতি ছয় মাসে সরকার বদলায়। এটা আমরা বিহারের মানুষের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভাল। এটা তাদের বিচার। আমি নীতিশ কুমারকে শেখানোর কেউ নই।