Advertisement

TMC on Kasba Gang Rape Case: 'মেয়ের শরীর নিয়ে রাজনীতি হয় না', কসবা-কাণ্ডে মুখ খুলল তৃণমূল

সকালে কসবার আইন কলেজে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তাঁর সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের তরফে শশী পাঁজা বলেন,'সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ অভিযুক্তকেও'।

কসবা গণধর্ষণের তৃণমূলের ব্যাখ্যাকসবা গণধর্ষণের তৃণমূলের ব্যাখ্যা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 27 Jun 2025,
  • अपडेटेड 6:12 PM IST
  • সকালে কসবার আইন কলেজে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
  • ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

'রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না'। কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যোগ স্পষ্ট হতেই এই ব্যাখ্যা দিল রাজ্যের শাসক দল। তবে মনোজিৎ মিশ্র যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা, তা স্বীকার করে নিয়েছেন টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য,মিডিয়ার লক্ষ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে দোষারোপ করা। বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি অস্বীকার করিনি সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করত না! ছাত্রাবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার জেলার সবচেয়ে নিচু পোস্ট, জেলা কমিটিতে ছিল। 

সকালে কসবার আইন কলেজে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তাঁর সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের তরফে শশী পাঁজা বলেন,'সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ অভিযুক্তকেও। মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অর্থাৎ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা চাই, নির্যাতিতা ন্যায়বিচার পান। একজন নাগরিক হিসেবে আমরা তাঁর পাশে আছি। এটা হতে পারে না'। 

সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন,'একটা অপরাধের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। মেয়ের শরীর নিয়ে রাজনীতি হয় না। তাঁকে সম্মান দিতে হবে'। সেই সঙ্গে অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন শশী। কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়,'অপরাজিতা বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ১০ মাস আগেই। এটা মেয়েদের পক্ষে বিল। অপরাধ হলে কঠিন শাস্তি ও ফাঁসির বিধান রয়েছে। কে আটকে রেখেছে? অপরাজিতা বিল আইন হোক। খালি পশ্চিমবঙ্গে পাশ হয়েছে অপরাজিতা বিল। পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল ধর্ষণকারীদের নিয়ে আপস করে না। ফুল-মিষ্টি মালা দিয়ে সংবর্ধনাও দেয় না। কলকাতা পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। আমরা মর্মাহত। পুরো তদন্ত হবে। শাস্তি ওরা পাবেই'।

Advertisement

মনোজিতের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নিয়ে সিপিএম ও বিজেপির দিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,'বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের এই বিষয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই। সিপিএমের নেতা-মন্ত্রী কী কী ঘটনা ঘটিয়েছে, জানেন? একটা ছেলে খারাপ কাজ করেছে, সে যে খারাপ কাজ করেছে, সেটা আগে থেকে বুঝবেন কীভাবে! সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে বিমান বসুর ছবি থাকলে বিমান বসুও দোষী! বিজেপির নেতা ব্রিজভূষণ সাংসদ ছিলেন, শ্লীলতাহানি করেছে, তার দেখা যাচ্ছে বিজেপির প্রথম সারির নেতামন্ত্রীদের। সুশান্ত ঘোষের খাটের জন্য বিমান বসুর দিকেও আঙুল তুলতে হবে'।

কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তাঁর মন্তব্য,'কার্তিক মহারাজকে গ্রেফতার করা হোক। ধর্ষণে অভিযুক্তদের রক্ষা করে প্রশ্রয় দেয় বিজেপি। কার্তিক মহারেজের সঙ্গে বিজেপির অন্য নেতাদের ছবি রয়েছে। তাঁকে আবার পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনাটি সিপিএম জমানায় হয়েছে, বিজেপির রাজ্য বেশি হয়েছে বলে আমরা সাফাই দিচ্ছি না। আমরা বলছি, পিঠের চামড়া তুলে দেওয়া উচিত। আমরা কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। সামাজিক অপরাধ এটা'।

Read more!
Advertisement
Advertisement