বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। বস্তুত, ওই জেলায় আর জেলা সভাপতি পদই থাকল না তৃণমূলের। তুলে দেওয়া হল ওই পদ।
বছর ঘুরলেই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। তার আগে দলের সাংগঠনিক রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল। একাধিক সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম বীরভূম ও কলকাতা উত্তর। সেখানে দলের সভাপতি বলে আর কিছু থাকল না। দলের সংগঠন দেখবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠন করে দেওয়া গেওয়া কোর কমিটি। প্রণিধানযোগ্য, ওই কোর কমিটির ৯ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে দলের চেয়ারপার্সন পদে কোনও বদল হয়নি। থাকলেন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে নতুন করে কাউকে জেলা সভাপতি করা হয়নি। বীরভূমের মতো এই সাংগঠনিক জেলাতেও তৈরি করে দেওয়া হল কোর কমিটি। ৯ জনের কোর কমিটিতে আছেন অতীন ঘোষ, শশী পাঁজা, জীবন সাহা, পরেশ পাল, সুপ্তি পাণ্ডে, স্বপন সমাদ্দার, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেক গুপ্তা ও স্বর্ণকমল সাহা।
লোকসভা ভোটের আগে সুদীপের কাজকর্মে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দুর্নীতিপরায়ণ বলে অভিযোগও করেছিলেন। উত্তর কলকাতায় তাঁকে যাতে দলের টিকিট দেওয়া না হয়, সেজন্য সওয়ালও করেছিলেন কুণাল। তবে উত্তর কলকাতার কোর কমিটিতে নেই তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুদীপ-জায়া নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন কোর কমিটিতে।
এছাড়া সংগঠনে একাধিক বদল করেছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করা হল। অসিত চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে জেলা সভাপতি হলেন সুজিত কুমার রায়কে।
হাওড়া শহর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করেছে শাসক দল। কল্যাণ ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্বে এলেন গৌতম চৌধুরী। হাওড়া সদরে চেয়ারম্যান পদে থাকছেন মন্ত্রী অরূপ রায়।