নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি। তার এক সপ্তাহ ঘুরতেই ফুরফুরায় গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। তবে কি ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ISF, TMC...
সেই বিতর্কই আরও উস্কে দিলেন শওকত মোল্লা। ক্যানিং পূর্বের TMC বিধায়কের কথায়, 'দেরিতে হলেও শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে'। আজতক বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'যাঁরা এক সময় রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীকে অসম্মান করত, দেরিতে হলেও তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। দেরিতে হলেও তাঁরা দিদির ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাই তাঁদের ধন্যবাদ জানাব।' এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি।
গত ১০ মার্চ, সোমবার হঠাৎ নওশাদের সাদা SUV ঢুকে যায় নবান্নে। প্রায় ২২ মিনিট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ISF বিধায়ক। নবান্নে ১৪ তলায় মিটিং চলতে থাকে। এদিকে নিচে শুরু হয়ে যায় তুমুল রাজনৈতিক জল্পনা। অনেকেই ২০২৬-এর নির্বাচনে আইএসএফ-তৃণমূলকে জুড়তে শুরু করে দেন। তবে নওশাদ ২২ মিনিট পর এসে নিজেই জল্পনায় জল ঢেলে দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,
জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর MLALAD- অর্থাৎ বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচে বাধা আসছে। সেই অভিযোগ করতেই মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, 'বিধানসভাতেও এই বিষয়টি তুলেছিলাম যে এমএলএ ল্যাডের টাকা পঞ্চায়েত সমিতি খরচ করছে না। ফেলে রাখছে। তাতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে।'
নওশাদ আরও বলেন, 'আমার আড়াই বছর নষ্ট করেছে। আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না... এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিধানসভায় দল নির্বিশেষে উন্নয়নমূলক কাজ করতে বলছেন।'
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও আইএসএফ বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্বের জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ সবেতেই অশান্তি ছিল তুঙ্গে। তবে কি এবার সেই দ্বন্দ্ব থামতে চলছে। শুধু তাই নয়, অনেকেরই জল্পনা, ২০২৬-এর নির্বাচনে হয় তো নতুন কোনও সমীকরণ দেখা যেতে পারে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
তবে নওশাদ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, এমন ভেবে নেওয়াটা বোধ হয় এখনই ঠিক হবে না। কোনও পক্ষই এখনও তেমন কোনও দাবি বা ইঙ্গিতই করেনি। তবে শওকত মোল্লার কথায় যে বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।
সংবাদদাতা- সুজয় ঘোষ