গতবছর এরাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তবে করোনার কারণে সেবার ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল ভারচুয়ালি। বলতে গেলে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর, ধর্মতলায় তৃণমূলের প্রথম একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ ছিল এটাই। আর তৃণমূলের শহিদ দিবস ঘিরে জনস্রোতে ভাসল শহর কলকাতা। নেত্রী মঞ্চে উঠতেই সেই ভিড় গর্জে উঠলো। যা দেখে আপ্লুত স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই সমর্থকের অধিকাংশই যে যুব সমাজ তা ভালই জানেন নেত্রী। তাই একুশের মঞ্চে যুব সমাজের জন্য বাংলায় কর্মসংস্থানের খতিয়ান সামনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার বক্তব্য
এরাজ্যে দেউচা পাঁচামি নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুদিন ধরেই। মমতা সাফ জানিয়ে দেন এই প্রকল্প হলে রাজ্যে ১ লক্ষ ছেলে-মেয়ের চাকরি হবে, ১০০ বছর বাংলায় বিদ্যুতের অভাব হবে না, উল্টে বাংলায় অন্য খানে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এরাজ্যে শিল্প ও কর্মসংস্থান নিয়ে তৃণমূলনেত্রী এদিন বলেন-
স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, আমরা চাই চাকরি হোক আর বিজেপি চায় চাকরি যাক। ভারতে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, কিন্তু বাংলায় কমেছে ৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলছে কৃষকদের ইনকামে বাংলা প্রথম। আমরা গর্বিত।
কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শাসক শিবিরকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা। তৃণমূলনেত্রী মঞ্চ থেকেই বলেন, সিপিএমের আমলে ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। ছেলেরা পার্বটি করতো, আর বউরা টিচারিতে চাকরি পেয়েছিল কীকরে?