Advertisement

Sujata Mondal : প্রেম-বিয়ে-ডিভোর্স-বিয়ের প্রস্তুতি, আর সেই রাত সাড়ে তিনটে; অকপট সুজাতা

কয়েকদিন আগের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দেবেন। তা নিয়ে মুখ খুললেন সৌমিত্র খাঁয়ের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। কথায় কথায় বললেন আরও কথা।

sujata Mondal
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Dec 2023,
  • अपडेटेड 2:46 PM IST
  • নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন সুজাতা মণ্ডল
  • উঠে এল রাজনীতির প্রসঙ্গও।

কয়েকদিন আগের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দেবেন। তা নিয়ে মুখ খুললেন সৌমিত্র খাঁয়ের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। তাঁর বিয়ে নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে কয়েকমাস আগে থেকেই। তিনি কি সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন? পাত্র কে ? নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন? সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন ২০১৯ লোকসভা ভোটে সৌমিত্র খাঁকে জেতানোর কারিগর সুজাতা মণ্ডল। 

প্রশ্ন : ফের বিয়ে করতে চলেছেন, কবে সিদ্ধান্ত নিলেন? 

সুজাতা : হ্যাঁ। আগের বিয়ের দু:স্বপ্ন কাটিয়ে উঠেছি। সৌমিত্রকে বিয়ে করেছিলাম বাড়ির অমতে। আমার পরিবারের সদস্যরা কোনওদিন সেই বিয়ে মেনে নেননি। তখন কথা শুনিনি। এখন বুঝতে পারি ভুল হয়েছিল। তবে বিয়ের পর যে মানসিক কষ্ট পেয়েছি, তার মাশুল দিতে হয়েছে। 

প্রশ্ন : কেন একথা বলছেন ?

সুজাতা : প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম সুখে থাকব বলেই তো। তা আর হল কই। বিয়ের পরই বুঝতে পারলাম ভুল লোকের সঙ্গে সংসার করছি। এমন অবস্থাও হয়েছে যে, আমার প্রাক্তন স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। দিল্লিতে করোনার সময় একা আছি। বাড়িতে না আছে খাবার না আছে গ্যাস। একদিন তো রাত সাড়ে তিনটের সময় বাড়ি থেকে বেরোলাম। উপায় ছিল না। বাঁচতে তো হবে। 

সেইজন্যই কি ডিভোর্স ? 

সুজাতা : এই একটা একমাত্র কারণ নয়। আরও অনেক কারণ আছে। যেগুলো প্রকাশ্যে বলা আমার রুচিতে বাধে। তবে উনি ভেবেছিলেন আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাবে। আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি। পার্টি করছি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অনুপ্রেরণা, মেন্টর। তাঁর নির্দেশ মতোই কাজ করি। 

Advertisement

প্রশ্ন: ফের বিয়ে করছেন, পরিবারের মত রয়েছে ? 

নিশ্চয়। আমার পরিবারের সদস্যরাই চাইছেন আমি ফের বিয়ে করি। সংসার বাঁধি। পার্টির অনেকে আমাকে ব্যক্তিগতস্তরে পরামর্শ দিয়েছেন, বিয়ে করার। করব শিগগিরই। আর আমার  তো বয়সও এখন অল্প।

প্রশ্ন: কবে বিয়ে করছেন তাহলে, কয়েক মাস ধরেই তো বলছেন...

সুজাতা : খুব শিগগিরই। এখন পার্টির কাজে একটু ব্যস্ত আছি। সব দিক সামলে নিই। আগেরবার তো তাড়াহুড়ো করেই বিয়েটা সেরেছিলাম। তার ফল হাতেনাতে পেয়েছি। এবার আর সেই ভুল করছি না। কিছুদিন পরই দেখতে পাবেন। 

প্রশ্ন: কয়েকদিন আগে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন 

সুজাতা : সৌমিত্র খাঁ-কে আমার থেকে ভালো কেউ চেনে না। নিজের দলেই তো কোণঠাসা। এখন চেষ্টা করছেন এসব বলে যদি প্রচারের আলোতে আসা যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় কাল বললে উনি পরশু এসেই তৃণমূলে যোগ দেবেন। এটা সবাই জানে। সাংসদ হিসেবে সৌমিত্র ব্যর্থ। আবার স্বামী হিসেবেও। জীবনে একটা কাজও ঠিকভাবে করতে পারেননি।  

প্রশ্ন: এমনটা কেন বলছেন? 

সুজাতা : সৌমিত্র খাঁ তো তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ছোটো ছোটো নেতাদের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছেন। এমনকী কংগ্রেসেও যেতে তিনি রাজি। দেখছেন না, বিভিন্ন সময় তিনি দলের বিরুদ্ধেই কথা বলে দেন। এগুলো তো সব চেনা ছক। হয়তো আন্দাজ করতে পেরেছেন, বিজেপি তাঁকে আর টিকিট দেবে না। সেই কারণে ফের দলবদলের চেষ্টা করছেন। 

প্রশ্ন : বিজেপি আপনার প্রাক্তন স্বামীকে টিকিট দেবে না বলে কেন মনে হচ্ছে ? 

সুজাতা : কারণ উনি নিজের লোকসভা কেন্দ্রে আসেন না। এলাকার কোনও কাজ করেন না। মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন। বিষ্ণুপুরে জিতেছিলেন আগেরবার। সেটা আমার জন্যই। প্রচার তো আমিই করেছিলাম। একার মুরোদে জেতার ক্ষমতা ছিল না ওঁর। 

প্রশ্ন : আপনাকে এবার সৌমিত্রর বিপরীতে দাঁড় করানো হবে ? 

সুজাতা : সেটা আমার দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমি যে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র হাতের তালুর মতো চিনি সেটা দল জানে। আমাকে এমনিতেই একাধিক দায়িত্ব ইতিমধ্যেই দল দিয়েছে। সেই মতো কাজ করছি। আগামীতেও করব। দল যদি আমাকে লোকসভায় প্রার্থী করে দাঁড়াব। সে যাঁর বিরুদ্ধেই হোক না কেন। 

প্রশ্ন : আপনি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বলে শোনা যায় ? 

সুজাতা : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমার মেন্টর। তাঁর নির্দেশেই কাজ করি। দলের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো। আমি যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছি তখন দল আমার পাশে দাঁড়িয়েছি। 

প্রশ্ন : প্রাক্তন স্বামীর প্রতি কোনও ক্ষোভ আছে ? 

সুজাতা : না কোনও ক্ষোভ নেই। তবে উনি একজন জন প্রতিনিধি। এটা ভুলে গেলে চলবে না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে সব কাজ করছেন তা তো কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একবার আমার প্রশংসা করেছিলেন। আর তাঁর দলের সাংসদ কী করছেন, সেদিকেও  প্রধানমন্ত্রীর খেয়াল রাখা দরকার। আর উনি আমার প্রশংসা করেছিলেন সেটা আমার কাজের জন্য। এমনি এমনি তো করেননি। 

প্রশ্ন : প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রশংসা করল সেটা প্রাপ্তি মনে হয় ? 

সুজাতা : সেই সময় করেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা দিয়ে তো আর আমার জীবন বাঁচবে না। তাই আমাকে নিজের রাস্তা নিজেই দেখতে হয়েছে।  
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement