Advertisement

Bratya Basu: তৃণমূল করলে তবেই সরকারি কমিটিতে ঠাঁই? ব্রাত্য বুঝিয়েই দিলেন

শাসকদলের সমর্থক অধ্যাপকরা জায়গা পান সরকারি কমিটিতে ৷ রবিবার এক অনুষ্ঠানে একথা আংশিকভাবে স্বীকার করে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেই ওয়েবকুপার সভায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কোনও রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দেন, সরকারি কমিটিতে কারা জায়গা পান। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তোলে, তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন করলেই সরকারি কমিটিতে জায়গা পাওয়া যায়। সেই অভিযোগ ‘অংশত সত্যি’ বলে মেনে নিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে ‘অন্যায়’-ও দেখছেন না তিনি। একইসঙ্গে তাঁর যুক্তি, যথার্থ শিক্ষাবিদরাও বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পান।

WBCUPA করলেই কি সরকারি কমিটিতে জায়গা? জবাব দিলেন ব্রাত্য WBCUPA করলেই কি সরকারি কমিটিতে জায়গা? জবাব দিলেন ব্রাত্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Feb 2025,
  • अपडेटेड 12:26 PM IST

শাসকদলের সমর্থক অধ্যাপকরা জায়গা পান সরকারি কমিটিতে ৷ রবিবার এক অনুষ্ঠানে একথা আংশিকভাবে স্বীকার করে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেই ওয়েবকুপার সভায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কোনও রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দেন, সরকারি কমিটিতে কারা জায়গা পান। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তোলে,  তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন করলেই সরকারি কমিটিতে জায়গা পাওয়া যায়। সেই অভিযোগ ‘অংশত সত্যি’ বলে মেনে নিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে ‘অন্যায়’-ও দেখছেন না তিনি। একইসঙ্গে তাঁর যুক্তি, যথার্থ শিক্ষাবিদরাও বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পান।

রবিবার তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক সংগঠনদের  সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ সেখানে এই প্রশ্ন করা হলে, তা 'অংশত' স্বীকার করে নেন ব্রাত্য । তিনি বলেন, "এর অংশত সত্যতা আছে ৷ আমি এটুকু বলতে পারি৷" প্রসঙ্গত গত রবিবারের পর এই রবিবারেও তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা ওয়বকুপার সভাপতি ব্রাত্য বসু ৷ তিনি বলেন, "এটি সরকারের সঙ্গে থাকা একটি সংগঠন ৷ আমি সভাপতি ৷ আমি সরাসরি রাজনৈতিক লোক ৷ আমার এখানে সরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কমিটি হয় তাহলে আমি চাইব আমাদের সংগঠনের লোকই থাক ৷ তৃণমূল করেন বলে তাঁরা অপাংক্তেয় হয়ে যাবেন ! এ তো হতে পারে না ৷" এখানেই শেষ নয়, 'অংশত' বলার কারণও স্পষ্ট করে দেন তিনি ব্রাত্য বসু ৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "কমিটিতে আমরা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদেরও নিচ্ছি ৷ এরকম প্রচুর শিক্ষাবিদ আমি দেখাতে পারি ৷ এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে উপাচার্য নির্বাচনের কমিটি তৈরি করা হয়েছে, সেখানেও প্রচুর শিক্ষাবিদ এবং উপাচার্য রাজ্যের বাইরে থেকে এসেছেন ৷"

নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেছেন সরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি যদি হয় তাহলে তিনি চাইবেন তৃণমূলের সংগঠনের লোকই যেন থাকে। তাঁর কথায় তৃণমূল করেন বলে তাঁরা অপাংক্তেয় হয়ে যাবেন এমনটা নয়। উল্লেখ্য, ২০২২-এও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে ব্রাত্য বসুকে বলতে শোনা গিয়েছিল চাকরিটা তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে, কীভাবে পাবে, কোথায় পাবে, কেন পাবে তা তিনি বলবেন না। সেই মন্তব্যের পরে বিস্তর জলঘোলা হয়ছিল। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা। তবে সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই বির্তকও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গত রবিবার ব্রাত্য বসু আরও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভাইস চ্যান্সেলার নির্বাচনের যে কমিটি তৈরি হল যেখানে প্রচুর শিক্ষাবিদ এবং ভিসিও এসেছেন রাজ্যের বাইরে থেকে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement