আজ তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা শপথগ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গিয়েছে সেই অনুষ্ঠান। শপথ নিলেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। আজ তৃণমূলের ১৪০ জন জয়ী প্রার্থী শপথ নেবেন। শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়।
কাল (৭ মে) আরও ১৫১ জন জয়ী প্রার্থী শপথ নেবেন। ইতিমধ্যে শপথ নিয়েছেন তৃণমূলের ফিরদৌসি বেগম, সমীরকুমার জানা, মদন মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। করোনা বিধি কড়া ভাবে মেনে চলা হচ্ছে। শনিবার বিধানসভার প্রথম অধিবেশন। সোমবার দফতরে যাবেন মন্ত্রীরা।
এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি সেখানে বেশিক্ষণ ছিলেন না। অনুষ্ঠান চলার এক ফাঁকে তিনি সামান্য সময়ের জন্য তিনি সেখানে ঘুরে যান। তিনি চলে যান নবান্নে।
বিধানসভার সূত্রে খবর, এদিন কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম জেলার জয়ী প্রার্থীরা শপথ নিয়েছে।
বিজেপির কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা শপথ নেননি। শনিবারও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। সোমবার থেকে কাজ শুরু করে দেবেন মন্ত্রীরা। মন্ত্রিসভায় কে কে জায়গা পান, এখন তার জন্য সবাই অপেক্ষা করে রয়েছেন।
এদিকে, তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়ছেন বুধবার। তিনি শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানেই তাল কাটল। রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে কার্যত পাল্টা জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশের বিধানসভা ভোটে বড়সড় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, বাম এবং কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি।
তারাই এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বাম এবং কংগ্রেসের কোনও জনপ্রতিনিধি বিধানসভায় থাকছেন না। রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম।
বিজেপি তাদের আসন সংখ্যা প্রচুর বাড়িয়েছে। ২০১৬ সালে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল তিন। সেখান থেকে এবার তারা ৭৭-এ পৌঁছে গিয়েছে।