ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত। বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। আর বিকেলে ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা ঘোষণা করেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্যে সরকার। বুধবার শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সে ব্যাপারে ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে কাজ হবে। বেসরকারি জায়গাতেও তাই।
তিনি আরও জানান, আমাদের অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছে অন্য রাজ্য। অনেক বেড বাড়ানো হয়েছে। সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। ৩ হাজার আইসিসিইউ বেড বাড়ানো হয়েছে। মৃতদেহ একটাও ফেলে রাখতে চাই না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২.৭৪ লক্ষ কোয়াক ডাক্তার রয়েছেন। আশা, আইসিডিএস যেমন কাজ করে, তেমন ওঁরা-ও করবেন। কী করা উচিত, তা জানাবেন। দেড় কোটি টিকা দিয়েছি। ৩ কোটি চেয়েছি। পরিবহণ কর্মী, সাংবাদিক এবং হকার- এঁদের আগে টিকা দেব।
এদিন তিনি জানান, অতিরিক্ত বিধি। কেউ ভুল বুঝবেন না। আগের বার ঝড় থামিয়ে দিয়েছিলাম। তাই এবার কিছু অ্যাকশন নিতে হচ্ছে। মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করছি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মাস্ক না ব্যবহার করলে কঠোর হতে হবে। রাজ্য সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি। বাজার করেই বাড়িতে জিনিস নিয়ে ঘরে ঢুকবেন না।
মমতা বলেন, সোশ্যাল, কালচারাল, আকাদেমিক জমায়েত নিষিদ্ধ। যতক্ষণ না পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কোনও অনুষ্ঠান করতে হবে ৫০ জনের মধ্যে। ছোট ছোট অনুষ্ঠান হবে।
তিনি জানিয়েছেন, কাল থেকে সব লোকাল ট্রেন বন্ধ। গাদাগাদি করে আসার ফলে। একে তো ৪-৫ লক্ষ বাইরে থেকে এসে বারোটা বাজিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। বিমান সারা রাজ্য়ে চলবে। অনেক সময় দেখছি ফেক সার্টিফিকিটও চলে আসছে।
তিনি জানান, ব্যাঙ্ক ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত কাজ হবে। বেসরকারি জায়গায় ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কাজ করতে হবে।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, লকডাউন না করে কোভিড আটকানো যাবে। হাটবাজার, সকাল ৭-১০, বিকেলে ৫-৭টা। তার মানে মানুষ বাজার করতে পারছে। যাতে বেশি ভিড় না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত। বাজারও চলবে, গরিব মানুষের অসুবিধা না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত।