হায়দবারাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির AIMIM (ALL INDIA MAJLIS-E-ITTEHADUL MUSLIMEEN) পশ্চিমবঙ্গে পার্টির সদস্যতা অভিযান শুরু করেছে। তারা ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দিতে পারে বলে খবর। সেজন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। মিমের (AIMIM-কে সংক্ষেপে বলা হয়) এই চেষ্টাকে ভালোভাবে দেখছে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, বিজেপি-কে ভোটে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই রাজ্যের ভোটে প্রার্থী দিতে চাইছে ওই দল।
তিনি বলেন, 'ওরা বিজেপির বি টিম। ভোট কাটার জন্য নির্বাচনে লড়ে। বিহার ও দিল্লিতে ওরা প্রার্থী দিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছিল।'
ফিরহাদ হাকিমের দাবি, আসাদউদ্দিনের দলের পশ্চিমবঙ্গে ভোটে লড়ার একমাত্র কারণ বিজেপি-কে সাহায্য। ওদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। মিমের ইমরান সোলাঙ্কি দাবি করেছিলেন, ফোর্ট উইলিয়াম ও ইডেন গার্ডেন ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। তা নিয়েও মুখ খোলেন কলকাতার মেয়র।
তাঁর কথায়, 'ওরা বলছে ইডেন গার্ডেন্স ও ফোর্ট উইলিয়াম হল ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। ছোটো থেকে শুনে আসছি ওগুলোর মালিক ইন্ডিয়ান আর্মি। ওয়াকফ বোর্ড কোনওদিন ওই জায়গাগুলোকে নিজের বলে দাবি করেনি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে ওই দল।'
প্রসঙ্গত, এর আগে মিমের রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইমরান সোলাঙ্কি জানিয়েছিলেন, তাঁদের দল বাংলার বিধানসভা ভোটে লড়বে। সেজন্য তাদের তরফে সদস্য সংগ্রহ অভিযানও শুরু হয়েছে। যে যে বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের শক্তিশালী বলে মনে করবেন, সেখানে সেখানে তাঁরা প্রার্থী দেবেন। সোলাঙ্কি বলেন, 'এর আগে ২০২১ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও আমরা লড়েছিলাম। ছাব্বিশের বিধানসভাতেও লড়ব।'
ফিরহাদ হাকিমকে জবাবও দেন ওই মিম নেতা। সাফ জানান, 'প্রতিটা রাজনৈতিক দলের যে কোনও জায়গায় ভোটে লড়ার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। তাঁরাও সেই সুবিধা নেবেন। তৃণমূল কংগ্রেসও গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরেও প্রার্থী দিয়েছি। তাহলে তারা এখন আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করছে কেন?'
দিল্লিতে তাঁরা ভোট কেটেছেন- এই অভিযোগের উত্তরে সোলাঙ্কি বলেন, 'আমরা ভোট কাটার রাজনীতি করি না। কংগ্রেস সব কটি আসনে হেরেছে দিল্লিতে। সেখানে মিমের কোনও হাত ছিল না। তৃণমূলও তো একাধিক রাজ্যে ভোট হেরেছে। তাহলে কি তারাও ভোট কাটার জন্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল?'