রাজ্য পরিবহণ দফতর অ্যাপ বাইক নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল। এবার বন্ধ হতে চলেছে বেআইনি বাইক-ট্যাক্সি । অ্যাপ ক্যাব সংস্থার কর্তা ও চালকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মন্ত্রী জানিয়ে দেন, ব্যক্তিগত নম্বর প্লেটের অ্যাপ বাইক আর পরিষেবা দিতে পারবে না। এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাইকে লাগাতে হবে বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট।
রাস্তায় ব্যক্তিগত নম্বর প্লেটের বাইক- ট্যাক্সির দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে এবার এই কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। প্রসঙ্গত শহরের অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি চার চাকার ক্যাবের পাশাপাশি বেশ কয়েকবছর হল শুরু করেছে বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবা । যদিও শহর এবং শহরতলি জুড়ে যত হাজার বাইক-ট্যাক্সি রয়েছে তার প্রায় অধিকাংশেরই নেই রেজিস্ট্রেশন বা পারমিট কিংবা বাণিজ্যিক পরিষেবা দেওয়ার হলুদ নম্বর প্লেট । কম খরচে চটজলদি গন্তব্যে পৌছনোর জন্য ইদানীং শহরবাসীর পছন্দের অন্যতম বাহন হল অ্যাপ বাইক। কিন্তু এই অ্যাপ বাইক নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। অনেক সময় যাত্রী নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। তাই এবার রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল।
অ্যাপ বাইকে বাধ্যতামূলক করতে হবে বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট, রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে এ কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে। যার মানে দাঁড়াচ্ছে ব্যক্তিগত কোনও নম্বর প্লেট যুক্ত মোটরসাইকেল, স্কুটার বা মোটরবাইককে আর ‘অ্যাপ বাইক’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য রাজ্যের জেলায় জেলায় বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। সেই সব শিবির থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যাবে।
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বাণিজ্যিক নম্বর প্লেটের জন্য জেলায় জেলায় বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করা হবে। সেখান থেকে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যাবে।’ এতদিন বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন থাকা বাইক চালকরা শুধু তিন জেলার মধ্যে পরিষেবা দিতে পারতেন। এবার থেকে সেই সীমানা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ জেলা করা হচ্ছে। এর ফলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ও হবে। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন এই ঘোষণায় বিপাকে পড়তে পারেন রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার যুবক। যাঁরা এখন অ্যাপ বাইক চালিয়ে সংসার চালান।