ফিরবে শরতের ঝলমলে আকাশ, এমনটাই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু রবিবার সন্ধের মুখে ফের ঝেঁপে বৃষ্টি নামল কলকাতায়। একইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত দু'দিন আকাশ মোটের ওপর পরিস্কারই ছিল। মনে করা হচ্ছিল পুজো কাটবে রোদ ঝলমলে আবহাওয়ায়। কিন্তু তা নিয়ে সংশয় তৈরি হল এদিন। তবে প্রশ্নটি সেখানে নয়। মোদ্দা কথা হল, দুয়ারে পুজো। পুজো পর্যন্ত কি এই বৃষ্টি চলবে? কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর? তাদের আশ্বাসবাণীতেই বা কতটা ভরসা পায় সাধারণ মানুষ?
এর মধ্যেই চিন্তার ভাঁজ পুজো কমিটির কর্তাদের কপালে। আমবাঙালির মনে আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতের সূত্রের খবর, অনুযায়ী আগামী কিছুদিন আকাশের মুখ ভার থাকবে।
এই বছর বাংলাতে বৃষ্টি একটু দেরি করেই এসেছে। তবে তা নিয়ে আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্ত মহল অন্য মত পোষণ করে। তাদের দাবি, বিশ্ব আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য এটা ঘটছে। এখনও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি আছে। বঙ্গোপসাগরের উপর কয়েক দিন আগে একটা নিম্ন চাপ দানা বাঁধে। তার জেরেই বৃষ্টি হচ্ছে এখন। এই বৃষ্টি শুধু মাত্র কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গেও হচ্ছে।
বর্তমান নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে গিয়েছে। তবে একটা মৌসুমী অক্ষ রেখা কাজ করছে তাই বৃষ্টি হচ্ছে। পুজোর সময় শহর কলকাতা থেকে দক্ষিণ বঙ্গ বৃষ্টিতে ভাসবে কিনা, তা নিয়েই চিন্তায় অনেকে।
এদিকে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশ থেকেই বিদায় নিচ্ছে বর্ষা। জম্মু-কাশ্মীর,উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লির, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের বেশিরভাগ অংশ থেকেই বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বর্ষার যে বিদায় রেখা রয়েছে তা গুলমার্গ থেকে ধর্মশালা, পান্থগড়, মাধবপুর থেকে যোধপুর হয়ে বার্মার পর্যন্ত বিস্তৃত।