কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় আজ, শনিবার সকালে হালকা বৃষ্টি হয়েছে, যা অনেকের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দিনভর মেঘলা আকাশ থাকলেও নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে, ফলে শীতের অনুভূতি কম থাকবে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে এই বছর শীতের প্রকোপ কম ছিল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শীত পুরোপুরি বিদায় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৭ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সকালে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝাই এ বছর শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকবে ৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া, অসম, কেরল এবং রাজস্থানে রয়েছে একটি করে ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে। তাই শীত জাঁকিয়ে বসতে পারছে না। আপাতত শীতের বিদায় পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই এ বছরের মতো শীত বিদায় নেবে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার এই জেলাগুলিতে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে। বাকি জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। সেই আনন্দে বৃষ্টির কারণে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। তবে, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকায় শীতের আমেজ কম থাকবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাগদেবীর আরাধনা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হবে।