কলকাতার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শীতের আবহ লক্ষ্য করা যাবে। আগামী দুই দিনে পারদ ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, যা শীতল রাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে। তবে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের আগে পর্যন্ত শীতের আমেজ অনুভব করার সম্ভাবনা কম।
তাপমাত্রার সাম্প্রতিক অবস্থা
কলকাতায় শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১.৩ ডিগ্রি বেশি। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৬ ডিগ্রি বেশি। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩২ ডিগ্রি, এবং সর্বনিম্ন ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় যথাক্রমে ১.১ এবং ৪.৩ ডিগ্রি বেশি।
পারদ পতনের কারণ
কলকাতার ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের বৈজ্ঞানিক অফিসার মণি শঙ্কর জানা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যে শুষ্ক এবং শীতল পশ্চিমী বাতাসের প্রভাবে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে। এই পতনের ফলে শহরে অপেক্ষাকৃত শীতল অনুভূতি বিরাজ করবে। দীপাবলি উপলক্ষে বাজি পোড়ানোর কারণে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দিন ও রাত উষ্ণ ছিল।
শীতের প্রকৃত নিপ কবে আসবে?
আবহাওয়া বিজ্ঞানী জানান, প্রকৃত শীতের অনুভূতি পাওয়া যাবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর থেকে। এই সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে চলে এলে বাতাসে শীতের নিপ স্পষ্ট হবে। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পারদ ২০ ডিগ্রির নিচে নামতে শুরু করে। পশ্চিমবাংলার পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে এই ঠান্ডার অনুভূতি প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই আসতে পারে বলে জানা জানান।
আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান জানা। ৫ বা ৬ নভেম্বরের মধ্যে এই বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুষ্ক পশ্চিমী বাতাস ও উপকূলীয় আর্দ্রতা-বোঝাই বাতাসের সংমিশ্রণের ফলেই এই বৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।