বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী তিন থেকে চারদিন একইরকম অবস্থা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির। পাশাপাশি হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কেমন থাকবে নতুন সপ্তাহে বাংলার বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই আপডেট।
বৃষ্টি চলবে
মে-র শুরুতেই বাংলায় একটানা বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ- বাংলার দুই ভাগেই চলবে ভারী বর্ষণ । ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত একটি নিম্নচাপ এবং উত্তর বাংলাদেশের উপরে অবস্থিত একটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুটি আবহাওয়া সিস্টেম ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে এবং এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
৪ তারিখ অর্থাৎ রবিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ও বর্ধমানে।
হাওয়ার গতি থাকবে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এই জেলাগুলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের মতে, নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
হাওয়া অফিস সতর্ক করে দিয়েছে যে, বজ্রবিদ্যুতের সময় বাইরে থাকা এড়িয়ে চলা উচিত এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন।
সোমবারের আবহাওয়া
সোমবার ৫ তারিখেও একই ছবি দেখা যেতে পারে। নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। বৃষ্টির সঙ্গেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। সোমবার ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তর বাংলাদেশে অবস্থিত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি থাকতে পারে, তাই স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ৫ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একটানা বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কলকাতার আবহাওয়া
কখনও রোদ, কখনও মেঘলা, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোটের উপর কলকাতার আবহাওয়া এমনই থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুয়ায়ী, অধিকাংশ দিনে সন্ধে নামলেই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। এই ক'দিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকতে পারে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ০.৪ ডিগ্রি কম। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি কম।