Advertisement

Kolkata Waterlogged: জলবন্দি গোটা কলকাতা, ব্যাহত ট্রেন-মেট্রো, হাওয়া বদল কবে?

রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি গোটা কলকাতা শহর। সল্টলেক এবং লাগোয়া এলাকা বানভাসি চেহারা নিয়েছে। থৈ থৈ অবস্থা কলকাতার ব্যস্ত রাস্তাগুলির। জল জমেছে কসবা, ভিআইপি বাজার, কাঁকুরগাছি, নিউটাউনসহ বিভিন্ন এলাকায়। জলমগ্ন খিদিরপুর, মোমিনপুর, সার্দান অ্যাভিনিউ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

Kolkata WaterloggedKolkata Waterlogged
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 23 Sep 2025,
  • अपडेटेड 8:42 AM IST

রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি গোটা কলকাতা শহর। সল্টলেক এবং লাগোয়া এলাকা বানভাসি চেহারা নিয়েছে।  থৈ থৈ অবস্থা কলকাতার ব্যস্ত রাস্তাগুলির।  জল জমেছে কসবা, ভিআইপি বাজার, কাঁকুরগাছি, নিউটাউনসহ বিভিন্ন এলাকায়। জলমগ্ন খিদিরপুর, মোমিনপুর, সার্দান অ্যাভিনিউ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। 

 রাতভর নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টিতে বহু বাড়ির একতলা ভেসে গেছে জলে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল ব্যাহত। ভারী বৃষ্টির কারণে রেললাইনে জল জমে অন্য শাখাতেও ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। কোথাও মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে, কোথাও ভেসে গিয়েছে সাজসজ্জার সামগ্রী। অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক কালে এমন দুর্যোগের সাক্ষী হননি তাঁরা। এই বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত ব্লু লাইনের মেট্রো চলাচলও। 

গত ১ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি। কয়েকটি জায়গায় তা আবার তিন ঘণ্টায় ছাড়িয়ে গিয়েছে ২০০ মিলিমিটারের গণ্ডিও। হাওয়া অফিসের তরফে  জানান হয়েছে, বৃষ্টির মূল প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। প্রভাব পড়েছে হাওড়া, হুগলিতেও। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের আর জেলাগুলিতে জারি হয়েছে  সতর্কতা।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরেই এই বৃষ্টি। 

সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টে পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনুযায়ী, মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪৭ মিমি, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কামডহরি এলাকায়। সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৫ মিমি। এছাড়াও, তপসিয়া, বালিগঞ্জ বৃষ্টির পরিমাণ ২৪০ মিমির অধিক। ভেসেছে উল্টোডাঙা, কাঁকুড়গাছি সংলগ্ন এলাকাও। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও মধ্যরাতের পর তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দ্রুতই নীচু এলাকাগুলি ডুবে যায়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পুজোর প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপের সামগ্রী জমে থাকায় নিকাশিনালা আটকে গিয়েছিল, যা জল জমার পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। ভোরের পরে বৃষ্টির দাপট খানিকটা কমলেও পুরোপুরি থামেনি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও বৃষ্টি হতে পারে। ফলে যেসব এলাকা ইতিমধ্যেই জলের তলায়, সেগুলির অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। পুরসভা ভোর থেকেই পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ এত বেশি যে, জল সরে যেতে সময় লাগবেই বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। পুর প্রশাসনের হিসাবে, দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার তুলনায় বেশি। তাই দক্ষিণ শহরতলির জীবনযাত্রা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। 

Advertisement

মঙ্গলবারও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলেই অনুমান। তবে ভারী বৃষ্টি নামলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে শবরবাসীর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল,বৃহস্পতিবার পূর্ব–মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এটি শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।  তার জেরে বৃষ্টি বাড়বে। এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পুজোয় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই সোমবার রাতভর অতিভারী বৃষ্টিতে দ্বিতীয়াতেই নাজেহাল শহরবাসী।

Read more!
Advertisement
Advertisement