বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ‘অন ক্যাটিগরি’ লিকার শপে (যে সমস্ত জায়গায় বসে মদ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে) কাজ করতে পারবেন মহিলারা। বিধানসভায় বারে মহিলাদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া বিলটি অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সরকার বৈষম্যে বিশ্বাস করে না।
প্রসঙ্গত, ভিনরাজ্যে বার, রেস্তরাঁর কাউন্টারে মহিলারাও থাকেন। কিন্তু বাংলায় সেই নিয়ম এতদিন ছিল না। এবার তাতে বদল হল। বার কাম রেস্তরাঁ, লিকার অন শপে কর্মসংস্থানে নয়া নিয়ম চালু করা হল। এর ফলে এবার থেকে বার কাম রেস্তরাঁ, লিকার অন শপে বসার ক্ষেত্রে আর বাধা থাকছে না মহিলাদের জন্য।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় অর্থ বিল ২০২৫ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে বৈষম্য বিশ্বাস করে না। এমন পরিস্থিতিতে, ১৯০৯ সালের বেঙ্গল এক্সাইজ আইন সংশোধন এবং অন ক্যাটাগরির মদের দোকানে মহিলাদের কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। এর পরে, মহিলারা বারে কাজ করার অনুমতি পাবেন। বিলে অবৈধ মদের উপর নজরদারির বিধানও রাখা হয়েছে।
এই বিল কার্যকর হলে লাইসেন্স প্রাপ্ত বার, বার-সহ রেস্তোরাঁ, হোটেল, থিয়েটার কাম বার কিংবা যে জায়গায় মদ বিক্রির সঙ্গে বসে খাওয়ার অনুমতি মেলে, সেখানে কাজ করার ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও বাধা থাকবে না। নয়া অর্থনৈতিক বিলে লেখা হয়েছে, এতদিন লিকার অন শপে মহিলাদের বসা নিষিদ্ধ ছিল। এটা বৈষম্যমূলক আচরণ। এবার সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হল। অর্থাৎ বার কাম রেস্তরাঁ, লিকার অন শপে বসতে পারবেন মহিলারা। তবে পাড়ার মোড়ের মদের দোকানের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই বহাল রইল।