রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ফের বাড়তে চলেছে ৪ শতাংশ। রাজ্য বাজেটে প্রস্তাব রাখলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে তা কর্যকর হবে। রাজ্যের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা এই সুবিধা পাবেন। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মোট ডিএ বেড়ে হবে ১৮ শতাংশ।
গত বছর বাজেটেও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০২৩ সালের বড়দিনে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার বড়দিনে অর্থাৎ গত ২৫ ডিসেম্বর সেই ধরনের কোনও ঘোষণা হয়নি। তাই বাজেটে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণার সম্ভাবনা যে প্রবল তা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী, পুরসভা,পঞ্চায়েতের কর্মী এবং পেনশন প্রাপক-সহ রাজ্যের সব সরকারি কর্মী। গত বছর বাজেটের পর আর ডিএ বৃদ্ধির পথে হাঁটেনি নবান্ন। ফলে বলা যায়, এক বছর পর এই ঘোষণায় খুশি সরকারি কর্মীরা।
বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ করে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন। সেখানে থেকে ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মচারীদের অনেকটাই বেশি সুবিধা হল। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আগে থেকেই বাজেটে ডিএ নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক হল ৩৫ শতাংশ। সেটা পুরোটা দেওয়ার দাবি বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এই নিয়ে বহুদিন ধরে চলেছে বহু আন্দোলন।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অষ্টম পে কমিশন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন একধাক্কায় ১০-৩০ শতাংশ হারে বাড়তে চলেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সপ্তম পে কমিশনের হিসাবে ডিএ বৃদ্ধির দাবি আরও জোরদার হচ্ছে। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যের ষষ্ঠ পে কমিশনের ঘোষণা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক দশক অতিবাহিত হতে চলেছে। সেই জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত সপ্তম পে কমিশন নিয়ে কোনও খবর নেই। তবে মনে করা হচ্ছিল, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই বাজেটে ৪ থেকে ৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা আজ ঘোষণা হতে পারে। বিকেল চারটেয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সেই ঘোষণা করেন।