দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে বড় ঘোষণা। এবার থেকে পুজো কমিটিগুলো অনুদান পাবেন ১ লক্ষ ১০ টাকা। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ঘোষণা করেন তিনি।
কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবছর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান পাবে দুর্গাপুজোগুলো। গত বছর ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান পেয়েছিল কমিটিগুলো। তখনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৫ সালে অনুদান বাড়াতে পারেন। অনুমান করা হয়েছিল তার পরিমাণ ১ লাখ টাকা হতে পারে। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ঘোষণা করলেন তিনি।
কবে থেকে অনুদান চালু হয়েছিল?
২০১৮ সাল থেকে দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বছর ক্লাব প্রতি দিয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার টাকা। তবে বছর যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে অনুদানের পরিমাণ।
আরও কী কী ঘোষণা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ৫ অক্টোবর হবে কার্নিভাল। ২,৩ ও ৪ অক্টোবর বিসর্জন করা যাবে। কার্নিভাল হবে কলকাতা শহরে। এছাড়াও দমকলের জন্য কোনও চার্জ দিতে হবে না পুজো কমিটিগুলোকে। এবছর পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের মাসুলেও ৮০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন বাড়ল অনুদান?
গত বছরের ঘোষণা মতো এবছর ১ লাখ টাকা অনুদান পাবে বলে মনে করেছিল পুজো কমিটিগুলো। তবে এবছর ১ লাখ ১০ হাজার ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এটাই শেষ দুর্গাপুজোর অনুদান ঘোষণা। সেই ভোটকে মাথায় রেখে হিন্দু ভোট টানতেই অনুদানের অঙ্ক বাড়ালেন তিনি।
এবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলার পুজোগুলোর প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কলকাতার পাশাপাশি জেলার পুজোগুলোও খুব ভালো হচ্ছে। জেলার পুজোগুলো ক্রমশ থিমের দিকে ঝুঁকছে। সেই থিম প্রশংসার যোগ্য। এছাড়াও এই সময়ে কেনাকাটা বাড়ে। তাতে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা আসে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। সেটাও ধরে রাখার দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গের সবার।'