মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যাঁদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে তাঁদের সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর।
এদিনের শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।
যদিও তার পাল্টা যুক্তিতে মামলাকরীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দাবি করেন, ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই আইনজীবীর আরও দাবি, বিভিন্ন সময় হলফনামায় তা স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত,কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে একটা মামলা দায়ের হয়। অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি এই জনস্বার্থ মামলাটি করেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ধর্মতলায় এক সভা থেকে এই মামলা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ জানান, তাঁর ভাই বোনেরা সবাই আলাদা থাকেন। সবার নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকে। তাঁর সঙ্গে সবার দেখা হয়, মিলিত হন পুজো বা উৎসবের সময়।
মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেন, তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাঁর নিজের বলতে কিছুই নেই। সাংসদ ছিলেন। সেজন্য যে পেনশন তিনি পান, তাও নেন না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য টাকাও নেন না।