রাহুল গান্ধীর গাড়িতে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। কাচ ভেঙে গিয়েছে গাড়ির। তা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি দুর্ঘটনার কথা শুনেছেন। তবে এই ঘটনা কাটিহারে হয়েছে। বাংলার সঙ্গে এর যোগ নেই। কোনওরকম হিংসাকে সমর্থন করেন না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমি মালদা থেকে বহরমপুর আসার সময় হেলিকপ্টারে আসতে আসতে শুনলাম, কংগ্রেসের একজন নেতা, আমি নামটাই বলে দিই রাহুল গান্ধী। ও আমার থেকে ছোটো। ওর গাড়িতে নাকি কে কাচ মেরেছে। পরে আমি খোঁজ নিলাম। কারণ আমরা তো এসব পছন্দ করি না। এসব করিও না।'
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'এসব নাটকে বিশ্বাস করি না। পরে খোঁজ নিয়ে দেখলাম, ওটা বাংলায় নয়, কাটিহারে কিষানগঞ্জে হয়েছে। কাচ ভাঙা অবস্থায় ওরা বাংলায় ঢুকেছে। কিন্তু আমি ঘটনার নিন্দা করি। কারও উপর আক্রমণ হলেই আমি নিন্দা করি। বিহারে সবে বিজেপি নীতীশ এক হয়েছে। ওদের রাগ থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের এখানে যেন কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। আমাদের এখানে যে কোনও পার্টি মিটিং মিছিল করতেই পারে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। শান্তিপূর্ণভাবে করতেই পারে সভা।'
রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাচ ভাঙা প্রসঙ্গে এর আগেই সরব হন অধীর চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের জানান, 'পিছন থেকে কেউ মেরেছে। হতে পারে, পিছন থেকে কেউ পাথর মেরেছে। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে। এটা হয়তো একটা ছোটো ঘটনা নয়। এর থেকে আরও অনেক ক্ষতি হতে পারত। রাহুল গান্ধীর মতো মানুষেরও নিরাপত্তা নেই। তিনি ভালোরকম নিরাপত্তা পান। তবে জাতীয় কংগ্রেসের একজন নেতা। তাঁর গাড়িতে হামলার নিন্দা করছি। রাহুল গান্ধী মধ্যাহ্ণভোজনের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন একটি সরকারি অফিসে। তা তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই খোলা মাঠে তাঁকে আসতে হয়।'
বহরমপুরের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম ও বিজেপি-কে নিশানা করেন। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম বিজেপির দালালি করছে। কংগ্রসের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়া ভালো ছিল। তবে সিপিএম-এর কারণে হয়নি। তিনি মালদায় দুটো আসন দিতে চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।