'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালন করার জন্য দিন ঠিক করতে নবান্ন সভাঘরে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকে যা মোটমুটি নির্যাস পাওয়া গেল তা হল বেশিরভাগই পয়লা বৈশাখের পক্ষেই। কিছুজন আবার অক্ষয় তৃতীয়া, রাখি পূর্ণিমার মতো দিনের কথাও বলেছেন। আলোচনায় উঠে এসেছে ১৫ অগাস্ট, ২৩ জানুয়ারি ও ১২ ডিসেম্বরও। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জয় গোস্বামী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবোধ সরকার, আবুল বাশার, সুগত বসু, শুভাপ্রসন্ন, গৌতম ঘোষ, প্রচেত গুপ্ত, রাজ চক্রবর্তী, সুদেষ্ণা রায়-সহ শিল্প ও সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, বীরবাহা হাঁসদা। বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন চেম্বার অফ কমার্স, সংবাদমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। মঙ্গলবারের বৈঠকে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপির কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন এসইউসি এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-র প্রতিনিধি।
চলতি বছরের ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই দিনটি পালন করা হয় রাজভবনেও। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তিনি পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দিন ঠিক করতে উদ্যোগী হন। 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' কবে পালন করা হবে তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসুকে উপদেষ্টা করে কমিটি তৈরি হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই কমিটি পয়লা বৈশাখকে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসাবে পালন করার সুপারিশ করেছিল। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেন।
মঙ্গলবারের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উপস্থিত সকলের মত জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই প্রস্তাবগুলি নিয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আলোচনা হবে। অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সঙ্গীত’ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে ঠিক করার। যদিও এটা নিয়েও শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য হওয়া যায়নি বৈঠকে।