যত সময় যাচ্ছে ততই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বেড়েই চলেছে। শুক্রবারই ১৫ জন রেজিস্ট্রারকে শো-কজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। এর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ‘আজ মধ্যরাতের মধ্যে কী করি দেখুন’, রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘বিন তুঘলক’ কটাক্ষের এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন সিভি আনন্দ বোস।
শনিবার হুঁশিয়ারির সুরে বাংলার রাজ্যপাল বলেছেন, "যা করেছি, তাতে গর্বিত আমি। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।" এই ঘটনা রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যেকার সংঘাত আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, গতকালই রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের পদ্ধতির সমালোচনা করার সময় এই তুলনা টেনেছিলেন ব্রাত্য বসু। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ‘পুতুলখেলা খেলছেন’ বলেও দাবি করেন। শনিবার সেই মন্তব্য নিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলেই, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার’ জন্য চরম বার্তা দেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান।
রাজ্যপালের এই হুঁশিয়ারির পরেই নতুন করে চর্চা হতে শুরু করেছে, কী পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজভবন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষামহলের একাংশের অনুমান, আজ মধ্যরাতে রাজভবনের তরফে বড় কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলায় রাজ্য ও রাজভবন সংঘাত নতুন নয়। একাধিক ইস্যুতে বারবারই রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতানৈক্য হয়েছে অতীতে। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন এই সংঘাত প্রায় প্রতিদিনই নয়া মোড় নিত। সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হওয়ার পর প্রথমদিকে তাঁর সঙ্গে নবান্নের সম্পর্ক ভালই ছিল। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এবার হয়তো মিটতে চলেছে বলেই মনে করেছিলেন সকলে। তবে কয়েকদিন যেতেই সেই ভুল ভেঙে যায়। রাজ্যপালের এদিনের হুঁশিয়ারিতে সংঘাত যে আরও বাড়ল।