Advertisement

Digha Jagannath Prasad: 'ক্ষোয়া ক্ষীর দিয়ে তৈরি হবে জগন্নাথের প্রসাদ,' শুভেন্দুর দোকানের গজা-প্যাঁড়া তত্ত্বের পাল্টা দাবি রাজ্যের

এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে বিতর্ক। শুভেন্দু অধিকারির দাবি, দোকানের গজা-প্যাঁড়া জগন্নাথের মহাপ্রসাদ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে ফুঁসে উঠলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সাংবাদিক বৈঠক করে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরির পদ্ধতি ব্যাখ্যা করলেন তিনি। কীভাবে ক্ষোয়া ক্ষীর থেকে তৈরি হবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ? কীভাবে তা মিলবে ঘরে ঘরে?

দিঘার জগন্নাথের প্রসাদ দিঘার জগন্নাথের প্রসাদ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Jun 2025,
  • अपडेटेड 9:48 AM IST
  • ক্ষোয়া ক্ষীর দিয়ে তৈরি হবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ
  • শুভেন্দুর গজা-প্যাঁড়ার তত্ত্ব উড়িয়ে দাবি রাজ্যের
  • এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রসাদ নিয়ে শুরু বিতর্ক

ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ। এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ জুন থেকে জেলায় জেলায় এই প্রাসদ বিলি শুরুর কথা। বিতরণ তলবে উল্টোরথ পর্যন্ত। এর মাঝেই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি ছিল, 'প্রসাদের নামে স্থানীয় মিষ্টি দোকান থেকে গজা, পেঁড়া নিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে। দিঘা থেকে আসছে না।' এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। যার জবাবও দিয়েছে রাজ্য সরকার। 

BJP উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপ্রচার চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, 'জগন্নাথ দেবকে নিবেদিত খোয়া ক্ষীর মিশবে প্রতিটি প্রসাদে। সঙ্গে থাকবে মন্দিরের ছবি। মিষ্টির দোকানে প্যারা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে যেটা রটানো হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ধাপে ধাপে এই খোয়া কেন্দ্রীয়ভাবে জগন্নাথদেবের চরণে সমর্পণ করে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে সেই মহাপ্রসাদ মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি হবে।' ইন্দ্রনীল জানান, মানুষের টাকাতেই এই মন্দির হয়েছে। তাঁদের টাকাতেই এই মহাপ্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে। ১০ টাকা করে প্যাঁড়া, ১০ টাকা করে গজা। 

পাশাপাশি, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু বলেন, 'সোমবারই এই মহাপ্রসাদের প্রসাদী খোয়া প্রথম কিস্তিতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পাঠানো হবে। তা জগন্নাথ দেবের শ্রীচরণে সমর্পণ করা হবে। সেই খোয়া মহাপ্রসাদ হলে জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবে মিষ্টির দোকানে। মিষ্টি তৈরির সময় এই খোয়া মিশিয়ে দেওয়া হবে। মানুষের কাছে যখন সেটা যাবে সেটা প্রসাদ। রেশন ডিলারদের মাধ্যমেই তা পাঠানো হবে। মিষ্টির গুণমান ঠিক রাখতে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টরও রাখা হয়েছে।'

আরও পড়ুন

একইসঙ্গে কেবলমাত্র হিন্দু পরিবারই এই প্রসাদ পাবে, এই দাবিকেও নস্যাৎ করেন ইন্দ্রনীল। তাঁর কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সেকুলার একজন প্রশাসক ভারত। খালি হিন্দুদের প্রসাদ দেওয়া হবে বলে যে অপপ্রচার চলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এরকম কোনও পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের নেই। এমন কোনও সার্কুলারও হয়নি।'

Advertisement

 তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'দিঘার জগন্নাথ ধাম নিয়ে কুকথা বলার আগে যদি নিজেকে শুভেন্দু প্রকৃত হিন্দু মনে করেন, তাহলে একবার জগন্নাথদেবকে দর্শন করে আসুন। জগন্নাথে আস্থা রাখুন। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দিঘার জগন্নাথ ধাম ঘিরে বাংলা তথা বাঙালির মধ্যে যে নয়া উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, তাতে ভয় পেয়েছে BJP।'

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement