চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনে তপ্ত বিকাশভবন চত্বর। বিকাশ ভবনের গেট খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন শয়ে শয়ে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই উত্তেজনার জেরে সেখানে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁদের চাকরি অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের গাফিলতির তার জন্য দায়ি। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁরা আরও জানান, পরীক্ষা দেবেন না। তাঁদের আগের মতো কাজে বহাল করতে হবে।
এদিকে বিকাশ ভবনের কাছে যান তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। তখন তাঁকে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। চোর চোর স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। তার জেরে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও সব্যসাচীর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা তাঁকে এলাকা থেকে কোনওরকমে নিরাপদে বের করে নিয়ে যান।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বর চাকরি থাকবে। কিন্তু মে মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু এই রায় আসার পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, একবার কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাই নতুন করে আর পরীক্ষা দেবেন না। সেই দাবি তাঁদের তরফে রাজ্য সরকারের কাছেও জানানো হয়।
এদিকে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা করেছে রাজ্য সরকার। চাকরিহারাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রেও তাঁদের ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। রিভিউ পিটিশন কেন করা হয়েছে, কী আছে তাতে সেই সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন। সেজন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে চান। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে চাকরিহারাদের আন্দোলন বা তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
চাকরি যাওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় আন্দোলন করছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, আগের মতো তাঁদের কাজে ফের বহাল করার সুযোগ না দিলে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে তা বড়সড় আন্দোলনের আকার দেওয়া হবে। গত কয়েকদিন ধরেই বিকাশ ভবন চত্বরের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে আবস্থান করছেন চাকরিহারারা। আজ তা হিংসাত্মক আকার নিল।