Advertisement

SSC Jobless Teachers : বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের, চরম উত্তেজনা

বিকাশ ভবন চত্বরে ধুন্ধুমার। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। একাধিকজন আহত। ঘটনাস্থল থেকে চাকরিহারাদের টেনে হিঁচড়ে বের করতে শুরু করে পুলিশ।

শিক্ষকদের উপর আক্রমণ পুলিশের শিক্ষকদের উপর আক্রমণ পুলিশের
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 May 2025,
  • अपडेटेड 8:50 PM IST
  • বিকাশ ভবন চত্বরে ধুন্ধুমার
  • চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

বিকাশ ভবন চত্বরে ধুন্ধুমার। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। একাধিকজন আহত। ঘটনাস্থল থেকে চাকরিহারাদের টেনে হিঁচড়ে বের করতে শুরু করে পুলিশ। তখনই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল থেকেই প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বিকাশ ভবন চত্বরে। সন্ধে গড়াতেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে।

ফের পরীক্ষায় বসবেন না, তাঁদের চাকরিতে স্থায়িভাবে বহাল করতে হবে এই দাবিতে আজ সকাল থেকে বিকাশ ভবন চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে একসময় একটি গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তখনই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। ধস্তাধস্তি হয়েছিল। সেই সময় ঘটনাস্থলে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত আসেন। তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে।  

এরপর বিকেলে সেখানে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মহিলা পুলিশও আসে। সাইরেন বাজানো শুরু করে। অভিযোগ এরপরই চাকরিহারাদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু হয়। বিকাশ ভবন চত্বর থেকে তাঁদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা।

এদিকে লাঠিচার্জের জেরে একাধিকজন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজনের জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হাতে ও পায়ে চোট পেয়েছেন। রক্ত ঝরেছে বলেও অভিযোগ।

ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বিকাশ ভবনে

চাকরিহারাদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করে। যদিও পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিক্ষুব্ধদের দাবি, তাঁরা পরীক্ষায় নতুন করে বসবেন না। সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও চান। সেই জন্য অবস্থান করছেন। তবে সেই অবস্থানে লাঠিচার্জ করা হয়।   

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বর চাকরি থাকবে। কিন্তু মে মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এই রায় আসার পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, একবার কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাই নতুন করে আর পরীক্ষা দেবেন না। সেই দাবি তাঁদের তরফে রাজ্য সরকারের কাছেও জানানো হয়। এদিকে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা করেছে রাজ্য সরকার। চাকরিহারাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রেও তাঁদের ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। রিভিউ পিটিশন কেন করা হয়েছে, কী আছে তাতে সেই সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন। সেজন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে চান। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement