Advertisement

Suvendu Adhikari: মমতা VS শুভেন্দু শুরু! ২৬-এর ভোটের দামামা বেজে গেল?

এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে বিধানসভায় ভাষণ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -- ফাইল ছবিশুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -- ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Feb 2025,
  • अपडेटेड 5:41 PM IST
  • রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল
  • রাজ্যপালের ভাষণের তীব্র বিরোধিতায় শুভেন্দু
  • ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি

রাজ্যে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই যেন ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল।  এদিন সকালে পরিষদীয় দলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ ভোট নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণূল কংগ্রেস। পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, 'উনি তো মোদীজিকেও অনেকবার তাড়িয়েছেন।'

রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল

এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে বিধানসভায় ভাষণ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, 'রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, দীপাবলি, ইদ, বড়দিন, বুদ্ধজয়ন্তী, গুরুনানক জয়ন্তী, মহাবীর জয়ন্তী, ছটপুজো, গঙ্গাসাগর মেলা-সহ অন্যান্য সবকটি প্রধান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে। আর্থিক অপ্রতুলতা এবং কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার আমাদের গ্রামীণ ভাইদের জন্যে কর্মসংস্থান ও আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটেননি। এবং সম্পূর্ণরূপে নিজস্ব তহবিল থেকে কর্মশ্রী ও বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করেছে। আমি সরকারের প্রাণবন্ত ও সহৃদয় নেতৃত্বের প্রতি সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে এই রাজ্য সমস্ত ক্ষতিকর ও নেতিবাচক সঙ্কট পরাস্ত করে এক প্রতিশ্রুতিময় আগামী দিনের লক্ষ্যে অগ্রসর হব।' রাজ্যপাল যখন ভাষণ দিচ্ছেন, তখন শুভেন্দুরা চিত্‍কার শুরু করেন বিধানসভায়। রাজ্যপালকে থামতে বলেন উদ্ধত ভাবে।

রাজ্যপালের ভাষণের তীব্র বিরোধিতায় শুভেন্দু

রাজ্যপালের ভাষণের তীব্র বিরোধিতা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, 'রাজ্যপাল বললেন, ইদ, দুর্গাপুজো, কালীপুজো নাকি ভাল হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নাকি ভাল। কালীপুজোয় এত কালীমূর্তি ভাঙা হয়েছে, বেলডাঙায় কার্তিক পুজোর দিন ৫০টা মন্দির ভাঙল। সেই বেলডাঙার কথা উল্লেখ নেই। সরস্বতী পুজোয় যে অপমান হয়েছে বাংলায়, তা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে কলেজে আইন পড়েছেন বলে দাবি করেন, সেই কলেজে একজন জয়েন্ট সিপি, ডিসি ও ২০০ পুলিশ দিয়ে পুজো হল, তার উল্লেখ নেই।' 

Advertisement

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি

পরে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু দাবি করেন, 'বাজেট অধিবেশনে আমাদের বলতে না দিলে ওদেরও বলতে দেব না আমরা।' বিধানসভা ভোটে মমতার ভবিষ্যত্‍বাণী প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য,'উনি তো মোদীজিকেও অনেকবার তাড়িয়েছেন। উনি ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সভা করে দাবি করলেন, এবার দিল্লি দখল করব। ২০২১ সালে এখান থেকে গিয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়ালেন, বললেন আমি গদ্দারকে হারাবো। মমতা ব্যানার্জির সব প্রেডিকশন লাগে না। উনি ২১ সালে ভোটের জেতার পরে কোভিডের সুযোগ নিয়ে ব্যাপক মুসলিম তোষণ করে কিছু সিট আমাদের থেকে বেশি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তারপর গোয়া দখল করব বলেছিলেন, বড় শূন্য নিয়ে এসেছেন। ত্রিপুরায় নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছেন। উনি স্বপ্ন দেখতেই পারেন। মমতা, কেজরিওয়ালদের সব স্বপ্ন যেমন অতীতে পূরণ হয়নি। এবারও হবে না।'

Read more!
Advertisement
Advertisement