বৃহস্পতিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, ৮ জুলাই ভোটগ্রহণ। সম্ভাব্য ভোটগণনা ১১ জুলাই। ৯ জুন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। শেষ তারিখ ১৫ জুন। এত কম সময়ে কীভাবে হাজার হাজার প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করবেন? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ৬০ হাজার প্রার্থীর মনোনয়ন পেশের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৭ দিন!
৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ ৭ দিন সময়। এর মধ্যে রবিবার ছুটি। ওই দিন মনোনয়ন পেশ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ৬ দিন দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন পেশের জন্য। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন পেশের সময়। দিনে সাকুল্যে ৪ ঘণ্টা। পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশের জন্য সবমিলিয়ে সময় দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টা। এনিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এত কম সময়ের মধ্যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা কি সম্ভব!
পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের ৯২৮টি, ৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ৭৩০টি, ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩ হাজার ২৮৩টি কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। ৭০ হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছেন। কীভাবে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৭০ হাজার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে এ ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান রাজীব সিনহা। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই নির্ঘণ্ট।
গণতন্ত্রের হত্যা বলে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর টুইট, এখন থেকেই রিগিং শুরু হয়ে গেল। বিরোধী প্রার্থীদের আটকাতেই মনোনয়ন পেশের জন্য অল্প সময় দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের কটাক্ষ,'যে স্টুডেন্ট সারাবছর পড়াশোনা করে,তাকে ভাবতে হয় না, যে পরীক্ষার তারিখ কবে ঘোষণা করা হবে। সেই স্টুডেন্টকে ভাবতে হয় না পরীক্ষায় পাশ করব না ফেল করব ?'