কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মহামান্য হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যে সব জায়গাগুলিতে রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কম, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে ধাপে ধাপে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ, নির্বাচন কমিশনের ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো উচিত। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে তা দেওয়ার। মোট সাতটি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে দিয়েছে আদালত। সেখানে আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত আরও জানিয়েছে, আপাতত ৭ জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হলেও, আগামী দিনে গুরুত্ব বুঝে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। সেই ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শুধু তাই নয়, আর কোথায় কোথায় প্রয়োজন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর, তা-ও পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ।
আদালতের আরও নির্দেশ, সব পোলিং স্টেশনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। যেখানে সম্ভব সেখানে হবে না সেখানে ভিডিয়োগ্রাফি বা লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে।
যেখানে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে হচ্ছে। কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, পোলিং অফিসারকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। যদি কোথাও সম্ভব না হয় তাহলে রাজ্য পুলিশকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। যদি মানা না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে আদালতের রায়ে।
আদালত আরও জানায়, চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য।
তবে, মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মহামান্য হাইকোর্টের তরফে।