অবশেষে কালবৈশাখীর একটা ক্ষীণ আশা দেখা গেল। আজ, বুধবার বিকেলে স্বস্তির বৃষ্টি দিঘা- সহ উপকূল এলাকা জুড়ে। বুধবার বিকাল ৫ টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। ঘন কালো মেঘ দেখেই আশায় বুক বাঁধেন বাসিন্দারা। তারপরেই ছাড়ে দমকা ঝড়। কোথাও কোথাও নামে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, সুন্দরবন লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় দু'এক ঘণ্টার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
টানা ১৫ দিন ধরে দাবদাহে পুড়ছে গোটা রাজ্য। তাই এই ক্ষণিকের বৃষ্টিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্বস্তি পান দিঘা ও লাগোয়া উপকূল এলাকার মানুষ। ঝড়ে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে দিঘায়। দিঘায় ঝড়-বৃষ্টির খবর পেতেই অন্য জেলাতেও শুরু হয়ে অপেক্ষা। কবে আসবে স্বস্তির বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু'ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। আগামী দু'ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকাতেও। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া।
শনিবার থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে হালকা সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিরও দেখা মিলতে পারে। অন্যদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও। বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে। শনিবার থেকে দার্জিলিং কালিম্পংয়ের পাশাপাশি বৃষ্টি বাড়বে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে।
গত ৩০ এপ্রিল কলকাতার পারদ উঠে গিয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এদিনও কলকাতার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাবাভিকের থেকে ৭.৪ ডিগ্রি বেশি। ২৯ তারিখে ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতিহাস বলছে, ১৯৫৪ সালের ২৫ এপ্রিল কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৫৪ সালের ২৫ এপ্রিল কলকাতার পারা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। সেটাই যদিও এখনও পর্যন্ত সর্বকালের রেকর্ড।