
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন সদ্য জেল ফেরত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে বিধানসভায় বসার নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া হবে। এমনকী অন্যান্য বিধায়করা যা সুবিধা পান, তাও পাবেন তিনি। এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বললেন তিনি?
এ দিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মন্ত্রীসভা থেকে ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা থেকে ওঁকে সাসপেন্ড করা হয়নি। ওঁর বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। উনি আসলে বিধানসভাতে বসতে পারেন। আমি একটা সুইটাবল জায়গা ওনাকে দেব।'
তিনি আরও বলেন, 'উনি অনেকদিনের প্রবীণ সদস্য। কোর্টের কী বিচার্য রয়েছে, সেটা আদালত বিচার করবে। কিন্তু বিধানসভা তাঁর নিয়মে চলবে। উনি যদি বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেসনে আসতে চান, আসতে পারেন। যদি কোনও বিষয়ের উপর তাঁর বক্তব্য থাকে, কোনও বক্তব্য রাখতে চান, সুযোগ যদি থাকে, তাহলে আমি নিশ্চয়ই সুযোগ করে দেব। অন্যান্য বিধায়কার যেমন সুযোগ পান। সাধারণ বিধায়ক হিসাবে অন্যান্য বিধায়করা যা সুযোগ-সুবিধা পান, সেগুলি পাবেন।'
আর এই বার্তার পর একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাওয়া গেল যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাইলেই বিধানসভায় যেতে পারবেন। তাঁকে সেখানে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।
পার্থ নিজেও চেয়েছিলেন
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। মঙ্গলবারই তিনি জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ফিরেই আবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি বিধানসভায় যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল না চাইলে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে নির্দল বিধায়ক হিসাবে বক্তব্য রাখবেন।
তাঁর কথায়, ‘আমি বেহালা পশ্চিমের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। যাঁরা আমাকে সৎমানুষ মনে করেন। পরপর পাঁচ বার নির্বাচনে জিতিয়েছেন, আমি তাঁদের কাছেই বিচার চাইতে যাব।’
এখন দেখার তিনি তৃণমূলের বিধায়ক হিসাবে নাকি নির্দল হয়েই বিধানসভায় যান। কিন্তু তিনি যে বিধানসভায় যাবেনই, এটা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়।
দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থকে। তারপর থেকেই তিনি জেলবন্দি। আর গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে এখনও তিনি বেহালা পশ্চিমেরই বিধায়ক। আর ৩ বছর ৩ মাস পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন পার্থ। তারপর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিধানসভা অধিবেশনে নির্দল বিধায়ক হিসাবেও যোগদান করতে চেয়েছেন। আর তাঁর সেই আশা কিছুটা পূর্ণ হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।