CV Ananda Bose Biman Bannerjee: এবার বিধানসভায় রাজ্যপালকে আসার আহ্বান জানালেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলের দুই বিধায়কের পক্ষে সওয়াল করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশ্যে সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে বার্তা দেন। তিনি বলেন, “আমি চাই আজই শপথ হোক। সারা রাজ্যের মানুষ দেখছেন। তামাশার জায়গা করে দিচ্ছেন। রাজ্যপালের বোঝা উচিত। এখনও আমি তাঁর কাছে আবেদন করব আপনি আসুন ওদের শপথবাক্য পাঠ করান। আমি আপনাকে গেট থেকে রিসিভ করে বিধানসভায় নিয়ে আসব।”
এই প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো রেফারেন্স টেনে এনে সিভি আনন্দ বোসকে বিঁধেছেন। বর্তমান রাজ্যপাল বোসের পূর্বসূরী রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, এটা এমন নয়, যে কখনও হয়নি। তিনি বলেন, “এর আগে একাধিকাবার এমন হয়েছে। রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড় বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী সহ আরও দুজনকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন।" তাহলে বর্তমান রাজ্যপালের অসুবিধা কোথায়, প্রশ্ন তাঁর। তাঁর দাবি, সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে নিজের দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত রাজ্যপালের।
এদিকে সোমবারও বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসেন দুই জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার তৃণমূলের প্রার্থী রেয়াত হোসেন কিছুতেই রাজভবনে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, আজও তাঁরা রাজ্যপালকে চিঠি পাঠাবেন যাতে বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করান। পাশাপাশি স্পিকারকেও চিঠি পাঠিয়েছেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন নিজেই। তিনিও জানিয়েছেন, সায়ন্তিকা ও রেয়াতের পাঠানো চিঠির প্রেক্ষাপটে তিনি রাজ্যপালকে চিঠি লিখবেন। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেছেন, ওই জয়ী প্রার্থীরা যেহেতু বিধানসভার সদস্য, তাই এখানেই তাঁদের শপথ নেওয়া উচিত। রাজ্যপাল শেষমেষ যদি না আসে তাহলে তাঁকে অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি আগেই বলেছি, আবারও বলছি রাজ্যপাল আসুন বিধানসভায় ওদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আর যদি ওঁর এখানে আসতে অসুবিধা থাকে তাহলে পরিষদীয় গণতন্ত্রের কনভেশন অনুযায়ী স্পিকারের উপর দায়িত্ব দিন শপথবাক্য পাঠ করাতে।”