
ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগ। ফের উত্তাল চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। সোমবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের এসএসসি দফতরের সামনে ‘নতুন’দের অবস্থান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল। অভিযোগ, পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের জোর করে তুলে দেয়। সেই সময় একাধিক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যে ইন্টারভিউ তালিকা কমিশন প্রকাশ করেছে, সেখানে ‘টেন্টেড’ বা অযোগ্য প্রার্থীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। ফুল মার্কস পেয়েও ইন্টারভিউয়ের তালিকায় ঠাঁই হয়নি নতুনদের অনেকের। এদিকে অভিজ্ঞতার কারণে বাড়তি নম্বর পেয়ে অনেকের নাম লিস্টে এসে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
গত শনিবার নতুন ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ইন্টারভিউ। তবে তালিকা প্রকাশ হতেই তা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের প্রশ্ন, 'শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নম্বর বরাদ্দের নিয়ম রয়েছে। তা হলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী কীভাবে বাড়তি নম্বর পেলেন?' তাঁর আরও প্রশ্ন, যাঁরা কেবলমাত্র প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতেই ছিলেন, তাঁরা উচ্চমাধ্যমিক লেভেলের পরীক্ষায় অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর কীভাবে পেলেন?
আইনজীবী দাবি করেছেন, তালিকায় একাধিক বড়সড় ভুল রয়েছে এবং এই বিষয়টি আদালতের নজরে আনা প্রয়োজন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী বুধবার শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি আরেক আইনজীবী পার্ট টাইম শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা নম্বর বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, এতে ফুল টাইম যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর নতুন নিয়মে পরীক্ষা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়। অভিযোগ, এ বছরের পরীক্ষায় ফুল মার্কস পাওয়া বহু প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি। ফলে ক্রমেই ক্ষোভ বেড়েই চলেছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
এখন নজর আগামী বুধবার আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে। চাকরিপ্রার্থীদের আশা, আদালতই বিচার করবে প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে কতটা ন্যায়বিচার মিলবে।