শরতের আকাশে পুজোর আমেজ থাকলেও অষ্টমীতে ভক্তদের জন্য অপেক্ষা করছে প্রবল আর্দ্রতা আর ঘাম ঝরানো পরিবেশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সারাদিনই থাকবে তীব্র রোদ ও আর্দ্রতা, যার ফলে প্যান্ডেল হপিং করতে গিয়ে ভিজতে হবে ঘামে। বিকেলের দিকে কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে মিলবে না বিশেষ স্বস্তি।
আজ সকাল থেকেই কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে তাপপ্রবণ আবহাওয়ার প্রভাব স্পষ্ট। আংশিক মেঘলা আকাশের কারণে বদ্ধভাব আরও বেড়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বনিম্ন ৬৩ থেকে সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত ছুঁয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি।
তবে নবমী থেকে আবহাওয়ার ছবিতে আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস। ১ অক্টোবর অর্থাৎ নবমী থেকেই তার প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গে। নবমী নিশি থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে দশমী ও একাদশীতে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ভারী বর্ষণে ভেসে যেতে পারে।
বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলিতে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদেও ভারী বর্ষণের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দ্বাদশীতে দুর্যোগ আরও তীব্র হতে পারে।
এদিকে, মৎস্যজীবীদের জন্য ১ থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবারেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় সব জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তবে রবিবার, বিসর্জনের দিন বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।