EXCLUSIVE: প্রথমে সোনাগাছি, তারপর চেতলা, বান্ধবীকে ফোন করে নগ্ন ছবি চাইল, তারপর...

রাস্তায় এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করেছিল

পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন সঞ্জয় সেই রাতে কী কী করেছিল, সবই বলেছে বলে জানা গিয়েছে। সে জানিয়েছে, ওই রাতে সে কলকাতার দুটি পতিতাপল্লিতে গিয়েছিল। কিন্তু যৌনতা হয়নি। রাস্তায় এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করেছিল ওই রাতে। সেই শ্লীলতাহানির ঘটনার ফুটেজ ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সঞ্জয় জানিয়েছে, দুটি পতিতাপল্লিতে সেক্স করতে পারেনি সে। তারপর বান্ধবীকে ভিডিও কল করে নগ্ন ছবি চেয়েছিল। 

সেই রাতে সঞ্জয় কী কী করেছিল? পলিগ্রাফ টেস্টে যা যা উঠে এল

৮ অগাস্ট: এক বন্ধুর সঙ্গে সঞ্জয় আরজি কর হাসপাতালে যায়। বন্ধুর ভাই ভর্তি ছিল। তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়।

রাত ১১টা ১৫ মিনিট: বন্ধুকে সঙ্গে নিয়েই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় সঞ্জয়। ঠিক করে, মদ খাবে। মদ কেনে ও রাস্তাতেই  খায়।

এরপর তারা ঠিক করে, সোনাগাছি যাবে। সোনাগাছিতে গিয়ে বচসা হয়, সেখানে যৌনতা না পেয়ে, সঞ্জয় ও তার বন্ধু চলে যায় চেতলায় পতিতাপল্লিতে। চেতলা যাওয়ার পথে রাস্তাতেই এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করে। 

চেতলায় সঞ্জয়ের বন্ধু একটি মেয়ের সঙ্গে যৌন মিলন করলেও, সঞ্জয় করেনি। সে বাইরে তার বান্ধবীকে ভিডিও কল করে নগ্ন ছবি চায়। বান্ধবী সঞ্জয়কে নগ্ন ছবি পাঠায়। 

এরপর দুজনেই আরজি কর হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে যায় সঞ্জয়। এরপর ভোর ৪টে ৩ মিনিটে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, হাসপাতালের সেমিনার হলের করিডোরে সঞ্জয় হাঁটছে।

সঞ্জয় সেমিনার হলে ঢোকে। ওই হলেই ঘুমোচ্ছিলেন তরুণী ডাক্তার। সঞ্জয় ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধস্তাধস্তি হয়। তরুণী ডাক্তারকে যৌন নির্যাতন চালায়। তারপর সে চলে যায় কলকাতা পুলিশের অফিসার অনুপম দত্তর বাড়িতে।