জোকা ইএসআই (Joka ESI Hospital) হাসপাতালের পেছন থেকে উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত দেহ। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রৌনক ভট্টাচার্য। ২৯ বছরের যুবক মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বেহালা থানার অন্তর্গত পুটিয়ারি রোডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে বেহালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা। হঠাৎ আজ ইএসআই হাসপাতালের চারতলা বিল্ডিংয়ের পিছনে যুবকের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান হাসপাতালের কর্মীরা।
সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশকে। দেহটি উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে 'মৃত' বলে ঘোষণা করেন। এরপর দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই যুবক হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যাও ছিল। শিরদাঁড়ায় যন্ত্রণা এবং চাকরি না পাওয়ার জন্য মানসিক অবসাদে ছিলেন তিনি।
ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠায় ৷ ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ ৷ অন্যদিকে, যুবকের কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ সেই মোবাইল ঘেঁটে মৃতের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করে৷ যোগাযোগ করা হয় তাঁর পরিবারে সঙ্গে ৷ খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন ৷ কিন্তু কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ ৷
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন ৷ বেশ কয়েক বছর ধরে চাকরির চেষ্টা করছিলেন ৷ বহু জায়গায় চাকরির পরীক্ষাও দেন তিনি ৷ তবেও কোনওভাবেই চাকরি পাচ্ছিলেন না । এর জেরে ওই যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবারের দাবি ৷ ইয়বে যুবকের মৃত্যুর পিছনে মানসিক অবসাদ রয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণ তা নিশ্চিত করতে, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ ।