মঙ্গলবারই সামনে এসেছিল মর্মান্তিক এক ঘটনা। উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মৃত্যু পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। পরিবারের দাবি, বাড়ির ছাগলের জন্য ওই ১২ বছরের ছেলেটি পাতা জোগাড় করতে বেরিয়েছিল। এলাকার এক দোকানের ধারে একটি গাছ থেকে পাতা একত্রিত করছিল সে। সেই সময়েই এই অঘটন ঘটে। পরিবারের বক্তব্য, দোকানের খোলা বিদ্যুতের তার থেকেই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ওই বালক। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই খোদ কলকাতা শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার খবর সামনে এল। এবার ঘটনাস্থল আনন্দপুর।
মঙ্গলবার বিকেলে ছাদে আগাছা পরিষ্কার করতে উঠেছিল এক যুবক। ছাদের পাশেই ছিল হাই টেনশন তার। সেই তারেই হাত লেগে যায় তরুণের। এরপর তারে আটকে ছটফট করতে থাকেন তিনি। হাই ভোল্টেজ তার থেকে তরুণকে নামাতে সাহসও পায়নি কেউ।
আনন্দপুরে ই এম বাইপাস লাগোয়া মার্টিনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায়। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তরুণকে কোনওরকমে নামিয়ে আনেন তারা। দগ্ধ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অগ্নিদগ্ধ তরুণের নাম নাজিবুল শেখ। ক্যানিংয়ের কাছে জীবনতলার বনমালীপুরের বাসিন্দা তিনি। পেশায় নাজিবুল শ্রমিক। জলের পাইপ সারানোর কাজ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে আনন্দপুরের একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন নাজিবুল। ছাদে উঠে আগাছা পরিষ্কারের সময়েই হাই ভোল্টেজ তারে হাত লেগে যায় তাঁর। তারপর তারের সঙ্গে আটকেই ঝুলতে থাকেন তিনি। আশপাশের বাড়ির লোকজন তরুণের আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন।
কসবায় রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার সাব স্টেশনের হাই-টেনশন লাইনে ছোঁয়া লেগেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই তারের লাইন তাদের নয় বলে সিইএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হাই টেনশন তারগুলো বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে। এর আগেও একটি বাচ্চা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল।