মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দুটি তদন্ত রিপোর্টে এদের গাফিলতির থাকার কথা পাওয়া গিয়েছে। যে ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজন সিনিয়র ডাক্তার। বাকিরা হলেন পিজিটি ট্রেনি। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন-সোমেন দাস, দিলীপ কুমার পাল, অ্যাসিস্টান্ট প্রফেশর হিমাদ্রী নায়েক, মহম্মদ আলাউদ্দিন, জয়ন্ত কুমার রাউত, পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়, মোমিতা মণ্ডল,ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু, সুশান্ত মণ্ডল, পূজা সাহা, মণীশ কুমার, জাগৃতী ঘোষ। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে প্রসূতির পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। চাইলে পরিবাররে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। গোটা ঘটনায় চিকিৎসকদেরই কাঠগড়া তুুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ডাক্তাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে এই ঘটত না। একটা মৃত্যু এড়ানো যেত।