TMC নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের বাবাকে যাদবপুরে এক নামে সবাই চেনে। অর্থাৎ এক কথায় প্রভাবশালী। গলায় একাধিক সোনার চেন। কি ভাবছেন? এ কোনও নতুন সিনেমা নয়! সত্যি সত্যি নাকি তিনি এমনই ডন গোচের। এমনকি সায়নীও একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন তাঁর বাবা ডন। মানে গলায় একগাদা সোনার চেন। যাদবপুরে এক নামে সবাই চেনে তাঁকে। কিন্তু কিভাবে সায়নীর বাবার এতো নামডাক জানেন? সেই ঘটনাও একটা সিনেমা থেকে কম কিছু নয়। সায়নীর বাবা জানান তাঁর প্রথমে পানের দোকান ছিল। আর এখন যাদবপুরের মতো জায়গায় তিন তিনটে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। এত রমরমা হঠাৎ কীভাবে হল সেটাও জানিয়েছিলেন সায়নীর বাবা। তিনি জানান, একবার এক প্রোমোটারকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রমোটার এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, তোকে দেখে নেব আমি’। না কোনও হুমকি নয়, তাকে সব দিক থেকেই নাকি দেখে নিয়েছিলেন ওই ব্যাক্তি। এর পরে আশি এক জ্যোতিষীর কথায়। তিনিও নাকি সায়নীর বাবাকে বলেছিলেন, তাঁকে চাকরি করতে হবে না। তাহলে কি ভাবেই ধনী হবেন? মানে অন্যের টাকায় বড়লোক হবেন তিনি। সত্যিই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় নেমে ফুলেফেঁপে ওঠেন অভিনেত্রীর বাবা। তাঁর আচার আচরণ, চলাফেরা কোনও অংশেই সেলিব্রিটির থেকে কম নয় বলেই জানা গিয়েছে। এবং ওই তল্লাটে তাঁর প্রভাবও নাকি মারাত্মক। তিনি বহাল তবিয়তে যেখানে খুশি এখন ঘুরে বেড়ান। কিন্তু সায়নীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কোনও যোগ কি রয়েছে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সেই উত্তরের সঙ্গে কি নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ রয়েছে? সেটাই যেন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মাথায়।