মিষ্টি খেতে কে না ভালবাসেন বলুন! বিশেষ করে বাঙালি মানেই তো মিষ্টি। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া হবেই না। আবার, মন ভাল করার জন্য মিষ্টিমুখের বিকল্প নেই। বাঙালির মিষ্টি প্রেমের কথা মাথায় রেখেই হাজারো রকমের মিষ্টির পসরা সাজানো থাকে দোকানে। তবে সব মিষ্টির মধ্যে বরাবরই জনপ্রিয়তার শীর্ষে রসগোল্লা।
সাদা ধবধবে গোল এই মিষ্টির চাহিদা সেই প্রাচীন কাল থেকেই রয়েছে। রসগোল্লাকে টেক্কা দিতে অনেক মিষ্টিই জায়গা করে নিয়েছে ঠিকই। তবে রসগোল্লা তার নিজস্ব জায়গা বছরের পর বছর ধরে একই রেখেছে। বিশেষ করে, কলকাতার রসগোল্লার আলাদা কদর রয়েছে।
কলকাতার সঙ্গে রসগোল্লার যোগ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। রসগোল্লা খেতে অনেকেই ভালবাসেন। অনেকেই ভাবেন যে, রসগোল্লা তো মিষ্টি, তাই তা খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শরীর ভাল রাখতে রোজ গরম রসোগোল্লার জুরি মেলা ভার।
রসগোল্লা খেলে কী কী উপকার হয়...
* বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ ১টা করে রসগোল্লা খেলে শরীরে তৎক্ষণাৎ এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরচর্চার পর রোজ গরম রসগোল্লা খেলে প্রয়োজনীয় ক্যালরি মেটায়।
* রসগোল্লা ছানা দিয়ে তৈরি হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, যা হাড়, দাঁতকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
* গরম রসগোল্লা নিয়মিত খেলে গাঁট ও বাতের ব্যথার উপশম হয়।
* রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফলে এটা খেলে হজম ভাল হয়। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* পেট ভাল রাখে গরম রসগোল্লা। তাই পেট খারাপ হলে রস নিংড়ে রসগোল্লা খেতে পারেন।
* ব্রেস্ট বা কোলন ক্যান্সার রুখতেও রসগোল্লা উপকারী।
* রসগোল্লায় রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে।
* নিয়মিত গরম রসগোল্লা খেলে কিডনিতে পাথর পড়ে না।
* রসগোল্লা খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
* রসগোল্লায় ল্যাকটোসের পরিমাণ কম থাকে, তাই দাঁত ক্ষতিকারক সুগারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।