Hilsa Price Bhaifota: ভাইফোঁটায় মানেই পেটপুজো। প্রতি বছর এই সময় বাজারে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। তবে এ বছর পুজোর পর থেকে বাজারে সেভাবে ইলিশের দেখা মিলছিল না। কিন্তু এবার ইলিশ নিয়েই সুখবর দিলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। শীতের মুখেই বাজারে বড় ইলিশ আসছে বলে জানালেন তাঁরা। ফলে ভাইফোঁটাতেও ভাইদের পাতে পড়তে পারে ইলিশের নানা লোভনীয় পদ। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিন বাজারে ইলিশের সাপ্লাই বাড়বে। ভাইফোঁটার আগেই বড় আকারের ইলিশ ঢুকতে শুরু করবে। তাই এ বছর ভাইদের ইলিশ খাওয়ানো নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।
তবে একটু খটকা রয়েই যাচ্ছে। কারণ, এই ইলিশ বাংলাদেশের নয়। মায়ানমারের। আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাস জানিয়েছেন, 'এখন বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ নেই। ভাইফোঁটায় যদি ইলিশ খেতে চান, তবে মায়ানমারের ইলিশই খেতে হবে।'
তবে চিন্তার কিছু নেই। মায়ানমারের ইলিশও বেশ সুস্বাদু বলে দাবি মাছ ব্যবসায়ীদের।
ভাইফোঁটায় ইলিশের দাম কেমন?
বাজার সূত্রে খবর, ওজন অনুযায়ী দাম হবে। একটু ছোট ইলিশ কেজি প্রতি ১৫০০ টাকার আশেপাশে শুরু হবে। একটু বড় ইলিশ চাইলে দাম ২৪০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে। দীপাবলির আলোয় ঝলমল করছে শহর। কিন্তু ভাইফোঁটার আগে ইলিশ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ছিলেন দিদিরা। এমনিতেই চলতি বছর বর্ষায় সেভাবে ইলিশ সাপ্লাই হয়নি। বাংলাদেশের ইলিশ তুলনামূলকভাবে কম এসেছে। তাই মায়ানমারের ইলিশেই এখন ভরসা মৎস্যপ্রেমীদের।
মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা বলছেন, এবার ইলিশের সাইজও গড় হিসাবে বড়ই হবে। এখনও পর্যন্ত যে ট্রলারগুলো ফিরেছে, তাতে বেশির ভাগ ইলিশই এক কেজির বেশি ওজনের। ফলে সবকিছুর মাঝে ভরসা সেটাই। বড় ইলিশ মানেই তার মাংস নরম, সুগন্ধী তেল বেশি আর কাঁটা কম।
বাজারের বিক্রেতারাও এখন ইলিশ আনার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। তাঁরা বলছেন, বড় ইলিশ এলে দাম একটু বেশি হলেও বিক্রি নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। ক্রেতারা ভাল ইলিশ পেলে আর দামের কথা ভাবেন না। সব মিলিয়ে, বর্ষার শেষে আবারও ইলিশ আসছে বাজারে। মায়ানমারের জল থেকে ধরা সেই রুপোলি মাছই হতে পারে বাঙালির উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু।