সন্ধেবেলা স্ন্যাক্সে মুচমুচে ও ঝালঝাল কিছু খেতে চায় বাচ্চারা। তাদের লক্ষ্য থাকে বাইরের খাবার খাওয়া। তবে বাইরের খাবার-দাবার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এমন পরিস্থিতিতে মা-বাবাদের সব থেকে বড় সমস্যা হল, বাড়িতে কী রান্না করে বাচ্চার মন জয় করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি বাইরের খাবার এড়িয়ে যেতে চান, তাহলে সাবুদানা ব্যবহার করতে পারেন। এর ফ্রেঞ্চফ্রাই একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে। খেতেও যা খুব সুস্বাদু। যদি বাড়ির বাচ্চাদের মুখের স্বাদ বদলাতে চান তাহলে সাবুদানার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করতে পারেন। এই রেসিপিটি খেতেও বাজারের মতো।
এই রেসিপিটি সেই সব দিনে সব থেকে বেশি ভালো হবে যেদিন উপোস করবেন। সারাদিন খাওয়া দাওয়া না করার পর সন্ধেবেলা এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে পারেন।
সাবুদানার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর জন্য প্রয়োজন এক কাপ সাবুদানা, ২ টো সেদ্ধ আলু, লবন, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, লেবুর রস ১ চামচ, ধনে পাতা সামান্য, সবুজ লঙ্কা, অ্যারারুট ও তেল।
কীভাবে তৈরি করবেন?
প্রথমে সাবুদানা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। জলের পরিমান খুব বেশি দেবেন না। সাবুদানার উপরে যেন খুব সামান্য থাকে, এমনভাবে জল দেবেন। এতে সাবুদানা ফুলে উঠবে ও নরম হবে।
এবার ভেজানো সাবুদানা ছেঁকে একটি বড় পাত্রে রাখুন। তাতে সেদ্ধ এবং ম্যাশ করা আলু দিন। তার সঙ্গে এক এক করে মেশাতে হবে লঙ্কাগুঁড়ো, লেবুর রস, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা। সেগুলো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার জুড়তে হবে বাদামি আটা। মিশ্রণটি এমনভাবে তৈরি করুন যাতে রোল তৈরি করা সহজ হয়।
এবার সেই মিশ্রণটি হাতে নিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকার দিন। লম্বা লম্বা কাঠি তৈরি করুন। এভাবে কাটতে গেলে পরিষ্কার জায়গায় মিশ্রণটা রেখে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন।
এবার একটি প্যানে তেল গরম করুন। তেল বেশি গরম করবেন না, মাঝারি আঁচে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে ভাজতে থাকুন। সোনালি বা বাদামি রং না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে রাখুন। মনে রাখবেন একসঙ্গে ভাজবেন না। তাহলে একসঙ্গে লেগে যেতে পারে।
ভাজার পর সাবুদানা ভাজা টিস্যু পেপারে তুলে নিন। যাতে অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায়। চাইলে উপরে সামান্য মশলা ছড়িয়ে দিতে পারেন।