
Hyacinth Bean Recipe: ভাত-ডালের সঙ্গে ভাজার মধ্যে বাঙালির সেরা বেগুনি। কেউ কেউ কুমরো দিয়েও বানান। এছাড়াও নানা রকম ভাজাভুজি তো আছেই। কেউ কেউ পুর ভরেও বিভিন্ন রকম না হলে যেন ঠিক জমে না। এই অভ্যাস বহু বাঙালির। তবে একঘেয়েমি ভাঙতে চাইলে আজই ঘরে বানিয়ে ফেলতে পারেন পুরভরা সিম ভাজা। বাইরে থেকে দেখলে বেগুনির মতোই মনে হবে, কিন্তু এক কামড় দিলেই মুখে ছড়িয়ে পড়বে আলাদা স্বাদ। সহজ উপকরণে, অল্প সময়ে তৈরি এই পদ গরম ভাত থেকে সন্ধের চা, সব কিছুর সঙ্গেই দারুণ মানাবে।
কী কী লাগবে?
এই বিশেষ সিম ভাজার জন্য প্রয়োজন হবে ৫-৬টি টাটকা সিম। পুর বানাতে লাগবে নারকেল বাটা, সর্ষে-পোস্ত বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা ও সামান্য সর্ষের তেল। ব্যাটারের জন্য চাই বেসন, চালের গুঁড়ো, কালোজিরে, হলুদ, নুন, অল্প চিনি এবং বেকিং পাউডার বা খাওয়ার সোডা। ভাজার জন্য প্রয়োজন হবে পর্যাপ্ত তেল।
সিম তৈরি করার ধাপ
প্রথমে সিম ভালো করে ধুয়ে দুই দিক কেটে নিন। লম্বালম্বি চিরে ভিতরের বীজ বের করে ফেলুন। চামচ বা ছুরির সাহায্যে ভেতরটা একটু পরিষ্কার করলেই সিমের মধ্যে পকেটের মতো জায়গা তৈরি হবে। এবার সামান্য নুন ও তেল মাখিয়ে ফুটন্ত জলের ভাপে পাঁচ মিনিট ঢেকে রেখে হালকা সেদ্ধ করে নিন।
পুর বানানোর পদ্ধতি
একটি পাত্রে নারকেল বাটা, সর্ষে-পোস্ত বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, নুন ও সর্ষের তেল মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এই মশলাদার পুর হালকা সেদ্ধ সিমের ভেতরে ঠেসে ভরে দিন।
ব্যাটার তৈরি
আলাদা পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, নুন, চিনি, হলুদ, কালোজিরে ও বেকিং পাউডার দিয়ে জল মিশিয়ে মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন। খুব ভালো করে ফেটানো জরুরি, না হলে ভাজার সময় বাইরের আস্তরণ ঠিকমতো ফুলবে না। চাইলে সামান্য পোস্তদানাও যোগ করতে পারেন।
ভাজার পালা
পুরভরা সিম ব্যাটারে ডুবিয়ে ছাঁকা গরম তেলে একে একে ভাজুন। সোনালি ও মুচমুচে হয়ে উঠলেই তুলে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
কখন খাবেন?
গরম ভাত ও ডালের সঙ্গে যেমন দারুণ মানাবে, তেমনই সন্ধের চা-আড্ডায়ও এই পুরভরা সিম ভাজা হবে একেবারে হিট। বাড়ির সবাইকে চমকে দিতে এই রেসিপি একবার ট্রাই করতেই পারেন।