গরমের তীব্র দাবদাহের পর, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে। রাজ্যের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টিপাত হওয়ায়, আবহাওয়া তুলনামূলক অনেকটাই ঠান্ডা। এই বৃষ্টি অনেক স্বস্তি দিলেও, তা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষাকালে সেই জন্যেই অত্যন্ত সচেতন থাকতে হয়।
বর্ষাকালে বদ্ধ জায়গায় রাখলেও ডালে পোকা দেখা দিতে শুরু করে। জানুন কীভাবে এড়াবেন এই সমস্যা। রইল ঘরোয়া টোটকা।
* ডাল তৈরির আগে অবশ্যই ভাল ভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
* ডালে একবার পোকামাকড় হলে, তা পরিষ্কার করা কঠিন। এজন্যে পোকা যাতে না হয়, আগে থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া ভাল।
* পোকামাকড় থেকে ডাল রক্ষা করার জন্য কৌটোগুলি একটি পরিষ্কার জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
* ডাল বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে জায়গা থেকে দূরে রাখুন।
* বেশি পরিমাণে ডাল একসঙ্গে সংরক্ষণ করলে, বাক্সে হলুদ যোগ করুন। এইভাবে মুসুর ডাল থাকে পোকামাকড় দূরে থাকবে।
* ডালের কৌটোয় অল্প অল্প করে তেল ভরে রাখলেও পোকামাকড় আক্রমণ করে না।
* ডাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে, এতে ডাল-সহ শুকনো নিম পাতা রেখে দিন। নিমের গন্ধে, পোকাকামড় ডালের কাছে ঘেঁষবে না।
* যে পাত্রে ডাল রেখেছেন, সেখানে দেশলাই কাঠি রাখলেও পোকা হয় না।
* খোসা ছাড়ানো কয়েক কোয়া রসুনের রেখেও ডালকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে পারেন। কয়েক দিন অন্তর পুরানো রসুনগুলি ফেলে নতুন কোয়া রাখুন।
* সর্দি-কাশি কমাতে লবঙ্গ উপকারী। ঘরোয়া টোটকাতেও লবঙ্গ কাজে লাগে। ডালের কৌটোর মধ্যে ৮-১০টি লবঙ্গ ফেলে রাখুন। পোকা আসবে না এবং দীর্ঘ দিন সতেজ থাকবে ডাল।
* ডালের কৌটোতে শুকনো লঙ্কা ফেলে রাখলে পোকা আসে না। ২-৩ টি শুকনো লঙ্কা কৌটোর মধ্যে রাখলে, এই লঙ্কার ঝাঁঝে পোকামাকড় ডালের কাছে আসবে না।
* রান্না করা ডাল ভাল রাখতে ফ্রিজে রাখা হয়। কাঁচা ডালের যত্ন নিতেও ব্যবহার করতে পারেন ফ্রিজ। জিপলক কৌটোতে ভাল করে আটকে, তবেই রাখুন ডাল।