Weight Loss Tips in Bengali: কোনও একটি নির্দিষ্ট খাবারে ওজন কমে না। তবে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারই রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে ওজন ধীরে ধীর হ্রাস পাবে। আসলে এই খাবারগুলি সরাসরি আপনার ওজন কমাবে না। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার একটি অভ্যাস গড়ে উঠবে। আর তার ফলেই আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। আজতক বাংলার এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত এই ১০টি খাবারেই ফাইবার বা প্রোটিন (কখনও উভয়ই) পাবেন। এর ফলে পেট অনেকটা সময় ধরে ভর্তি থাকবে। নিয়মিত এগুলি খেলে আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ হতে পারে।
১. অঙ্কুরিত ছোলা
অতি সাধারণ খাবার। কিন্তু এরই অভাবনীয় উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং ফাইবার পাবেন। অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। তাছাড়া লেবু, বিট নুন, লঙ্কা দিয়ে মাখলে খেতেও বেশ ভাল লাগে।
২. পাকা মাছ
হজমের সমস্যা না থাকলে এটি খেতেই পারেন। পাকা কাতলার কালিয়া খেতে দারুণ। মাছের ফ্যাটের উপকারিতাও অনেক। তবে হ্যাঁ, খুব বেশি তেল দিয়ে রান্না করবেন না। এছাড়া ভেটকির মতো মাছ ভাপা খেতে পারেন মাঝে মাঝে। ছোট মাছ খেলেও উপকার পাবেন। এতে আপনার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে।
৩. ক্রুসিফেরাস সবজি
নামটা শুনে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। আসলে এর অর্থ হল, ফুলকপি, ব্রকলি জাতীয় সবজি। এগুলি ওজন কমানোর জন্য দুর্দান্ত।
ক্রুসিফেরাস শাকসবজিতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। এটি ওজন কমানোর জন্য আদর্শ।
৪. খোসাসহ ডাল
আমরা যে চাল খাই তার খোসা ছাড়ানো থাকে। কিন্তু খোসাসহ ডাল খেলে বেশি উপকার পাবেন। ফাইবারের কারণে পেট অনেকটা সময় ভর্তি থাকবে।
৫. আটা
ময়দার বদলে লাল আটার রুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ফাইবারের কারণে পেট অনেকটা সময় ধরে ভর্তি থাকবে।
৬. ফল
সমস্ত মরসুমি ফল নিয়মিত খান। বিশেষত পেয়ারা, শসা, বিভিন্ন ধরনের লেবু।
৭. টক দই
দইতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যকরে। ২০২০ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে, অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য থাকলে তা ফ্যাট ঝড়াতে সহায়তা করে।
৮. বাদাম
বাদামে অনেক উপকারী ফ্যাট থাকে। ওজন কমাচ্ছেন বলে ফ্যাট যে একেবারে বাদ দেবেন, এমনটা ঠিক নয়। তবে শুধুমাত্র কাঁচা বাদামই খাবেন। আমন্ড, পেস্তা, আখরোট ভিজিয়ে খেতে পারেন। তবে দিনে ৬-৭টির বেশি খাবেন না।
৯. ডিম
ওজন কমাতে ব্যায়াম করছেন? সেক্ষেত্রে নিয়মিত একটি করে ডিম খান। প্রোটিন, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে।
১০. ডার্ক চকোলেট
ওজন কমাতে মিষ্টি খাবার বাদ। আর সেক্ষেত্রেই সুরাহা হল ডার্ক চকোলেট। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তবে এক-দুই টুকরোর বেশি খাবেন না।