Water Spinach Health Benefits: গ্রামবাংলার অতি সাধারণ শাক। কিন্তু তাতেই পাবেন দুর্দান্ত উপকারিতা। কলমি শাকের মতো সহজলভ্য শাকেই যে এত গুণ থাকতে পারে, তা জানতেন?
কলমি শাকের মধ্যে রয়েছে গুণের পাহাড়। এতটাই বেশি যে তা অনেক নামীদামি খাবারকেও টেক্কা দিতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, নিয়মিত পাতে কলমিশাক রাখলে সরাসরি অনেক উপকার পাবেন।
বাঙালিদের অনেকেই শাক খেতে চান না। কিন্তু এই কলমি শাকের মতো সামান্য শাকেও ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি রয়েছে ভরপুর। তাছাড়া পেঁয়াজ দিয়ে কলমি শাক ভাজা করলে তা খেতেও দুর্দান্ত হয়।
আসুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কলমি শাকের উপকারিতার বিষয়ে:
১. ভিটামিন সি- কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই সর্দি-কাশির ধাত থাকলে কলমি শাক খেতে পারেন। তবে খুব বেশি সময় ধরে রান্না করবেন না। একটু সবুজ ভাব যেন থাকে।
২. ক্যালসিয়াম- কলমি শাক ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উত্স। তাই বাড়ন্ত শিশুদের জন্য এটি বেশ উপকারী। তাছাড়া যে কোনও বয়সেই শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে কলমি শাক। হাড় শক্তপোক্ত করতে এটি সহায়তা করে।
৩. ফাইবার- কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে কলমি শাকে উপকার মিলতে পারে। কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
৪. অ্য়ান্টি-অক্সিডেন্ট- কলমি শাকের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কলমি শাকের এই গুণাবলীর জন্য এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতা, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে কলমি শাক সাহায্য করে। তাছাড়া এর ভিটামিন চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কাদের কলমি শাক খাওয়া উচিত্ নয়?
কিডনির সমস্যা, দুর্বল হজম শক্তি, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, কিডনির রোগ থাকলে সেক্ষেত্রে কলমি শাক খাওয়া উচিত্ নয়।
কীভাবে খাবেন?
যে কোনও শাক-সবজিরই উপকারিতা পেতে হলে তা সঠিকভাবে রান্না করতে হবে। কলমি শাকের ক্ষেত্রেও তাই।
১. শাক ধুয়ে তারপর কাটবেন। কেটে ধোবেন না।
২. যতটা সম্ভব কম তেলে রান্না করার চেষ্টা করবেন।
৩. খুব বেশি সময় ধরে কলমি শাক রান্না করতে থাকবেন না। নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করলেই যথেষ্ট। বেশি গলিয়ে ফেলতে গেলে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যাবে।