রাতে শুলেই নাক ডাকার আওয়াজ। অনেকেই এই কারণে বিড়ম্বনায় পড়েন। কিন্তু ঘুমের সময়ে এমন ভয়ানক আওয়াজ হয় কেন? আসলে গলার শিথিল টিস্যুর মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবাহিত হলেই এমনটা ঘটে। শ্বাস নেওয়ার সময় গলার এই শিথিল টিস্যুগুলি কম্পিত হয়। বেশিরভাগ ব্যক্তিই মাঝে মাঝে নাক ডাকেন। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটি বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
কখনও কখনও এটি কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য অবনতির প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে। লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার মাধ্যমে নাক ডাকা বন্ধ করতে পারেন। সাধারণ কিছু বিষয়ে নজর রাখলেই আপনি নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
নাক ডাকার ঘরোয়া প্রতিকার
নাক ডাকার চিকিৎসার জন্য প্রথমেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করুন। যেমন:
পাশ ফিরে ঘুমান
সোজা হয়ে ঘুমালে জিভ গলার পিছনের দিকে চলে যায়। এর ফলে গলা দিয়ে বাতাসের প্রবাহ আংশিকভাবে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এটি বাতাসের প্রবাহ রোধ করে। নাক ডাকা কমাতে বা বন্ধ করতে সবার আগে পাশ ফিরে ঘুমানো শুরু করুন।
আমেরিকান একাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন এবং স্লিপ রিসার্চ সোসাইটি অনুসারে, প্রতিরাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের অভাব হলে নাক ডাকার ঝুঁকি বাড়তে পারে। কম ঘুম হলে তা আপনার গলার পেশি শিথিল করে দিতে পারে। এর ফলে আপনার শ্বাসনালী বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। নাক ডাকা মানে আপনার ঘুমের অভাব হচ্ছে ধরে নিতে পারেন।
মাথা উপরে তুলে ঘুমান
একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করুন। এতে ঘুমে সময়ে শ্বাসনালীতে চাপ কম পড়বে।
ধূমপান করবেন না
ধূমপান করলে নাক ডাকা আরও বাড়তে পারে। ২০১৪ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে, নাক ডাকার অন্যতম সম্ভাব্য কারণ হল ধূমপান। তাই নাক ডাকার সমস্যা থাকলে ধূমপান ছেড়ে দিন।